খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২
  সাতক্ষীরার তালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত আরও ১১ জন

পূর্ণিমার জোয়ারে দাকোপের নদীর পানি বাড়িঘর-সড়কে, ভোগান্তিতে বসবাসকারীরা

দাকোপ প্রতিনিধি

পূর্ণিমার জোয়ারে খুলনার দাকোপ উপজেলার চুনকুড়ি, পশুর, ঢাকীসহ বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পোদ্দার গঞ্জ ঘাটের রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়ায় পারাপারে জনসাধারণের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও নদীর তীরে চর এলাকায় বসবাসকারীদের ঘর-বাড়িতে পানি উঠে মানবতার জীবন-যাপন করছেন তারা। নদীতে প্রবল পানি বৃদ্ধির কারণে ৩১ নং পোল্ডারে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।

রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জোয়ারে হঠাৎ করে নদী-খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চুনকুড়ি, পশুর নদীর তীরে থাকা ঘাট এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চক্রবর্তী, মিঠুন চক্রবর্তী, উৎপল রায়, সাধন রায়, ঠাকুর দাস হালদার বলেন, চুনকুড়ি নদীতে প্রবল পানি বৃদ্ধির কারণে ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গেছে। ছাগল ও গবাদি পশু নিয়ে তারা বিপদে পড়ে গেছে। আর পানি ওঠায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে তাদের।

এলাকার প্রভাষ দাস, নারায়ন দাস বলেন, আষাঢ়-শ্রাবণ মাস আসলে খুবই কষ্টে থাকতে হয়। মাঝে মাঝেই পানি উঠে যায়। নদীর তীরে উঠা নামার এ রাস্তাটা যদি একটু উঁচু করে বাঁধ দেওয়া থাকতো, তাহলে আমরা কিছুটা শান্তিতে পার হতে পারতাম।

চালনা পৌরসভার এলাকার ব্যবসায়ী সুবল ঘোষ বলেন, চারপাশে নদী আর খালের মধ্যে আমাদের বাজুয়া, দাকোপ, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা, লাউডোবসহ দাকোপের ৯টি ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভা অবস্থিত। হঠাৎ করে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু পরিবার এবং আমার মিষ্টির দোকানের কারখানায় যাতায়াতের পথে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি থাকায় পানি সহজে নামছে না।

এছাড়া দাকোপ উপজেলার একমাত্র প্রবেশ পথ হলো পোদ্দার গঞ্জ ও পানখালী ফেরিঘাটের রাস্তাটি, সেখানেও একই অবস্থা। এছাড়াও ৩১নং পোল্ডারে ওয়াবদা বেড়িবাঁধ রাস্তার বেহাল দশা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। এলাকার সাধারণ জনগণের দাবি দ্রুত মেরামত করা হোক এই ওয়াবদা বেড়িবাঁধ। তা না হলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা। স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।

খুলনা গেজেট/ এএজে/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!