খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ
  হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত
  ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের
পুলিশ হত্যা মামলায়

কয়রায় ইউপি চেয়ারম্যান আছেরসহ ৪ আসামী জেলহাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা জেলার কয়রায় পুলিশ কনস্টেবল মোঃ মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় কয়রা দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়লসহ চার আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে না করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক সুনান্দ বাগচী। আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. এমএম মজিবুর রহমান।

কারাগারে প্রেরিত অন্যান আসামীরা হল- সাবেক ইউপি সদস্য নাছের আলী মোড়ল, মোস্তফা রিপন মোড়ল ও আঃ রউফ শেখ। মামলাটি তদন্ত শেষ পর্যায়ে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনা।

ইতোপূর্বে সিআইডি’র দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, কয়রা দক্ষিণ বেদকাশির গোলখালী গ্রামে ৯ বছর আগে আসামী ধরতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে কনস্টেবল মোঃ মফিকুল ইসলাম নিহত হন। ওইদিন পুলিশ একটি মামলার আসামী আব্দুল গনি সরদারের বাড়ীতে অভিযান চালিয়েছিল। এ অভিযানের আগেই গনি সরদারের প্রতিপক্ষ নূরুল আমীন মোড়লের চাচাতো ভাই নাছের আলী মোড়ল, আছের আলী মোড়ল, গোলাম মোস্তফা রিপন, রউফ শেখ, তাইজুল গাজী ও দাদরিজ শেখসহ কয়েকজন বন্দুক, গুলি, লাঠিসোঁটা, হাতুড়িসহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে হাজির হয়। তারা আব্দুল গনি সরদারকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর স্কুলপড়ুয়া শিশু সন্তান সিরাজুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুল গনির স্বজন ও প্রতিবেশীদের আত্মচিৎকারে গ্রামের সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসে। ওই পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশের পেছনে অবস্থান নেয়া রউফ শেখ, আছের আলীর কাছে থাকা বন্দুক দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এতে কনস্টেবল মোঃ মফিকুল ইসলামের বাঁ পায়ের হাঁটুর পেছনে গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি। এঘটনায় আংটিহারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোঃ মমিনুর রহমান বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা করেন। কয়েক দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর ২০১৫ সালে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক সরদার মোঃ হায়াত আলী আদালতে একটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর আসামীপক্ষ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাজারী করলে মামলাটি স্থবির হয়ে পড়ে।

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!