খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

থানা বেষ্টনীতে যুবতীকে ধর্ষণ করলো পুলিশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে থানার বেষ্টনীর মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল (মুন্সি) সহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মাদলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (কং/২৬৪) মকবুল হোসেন (৩২), বেগমগঞ্জ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমান উল্যার ছেলে সিএনজি চালক মো. কামরুল (২৫), সদর উপজেলার দাদপুর গ্রামের মৃত মফিজ উল্যার ছেলে আবদুল মান্নান (৪৯), বেগমগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে নুর হোসেন কালু (৩০)।

শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত ৪জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার বিকালে সুধারাম থানার বেষ্টনির মধ্যে জেলা ট্রাফিক পুলিশের কোয়ার্টারে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

ভিকটিম নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আটিয়া বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে। এক পর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ৪জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৪ আসামিকেই গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!