খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
  বান্দরবানের রুমা থানচি সীমান্তবর্তী এলাকায় দু’টি মরদেহ উদ্ধার
  দেশে আবারও ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট জারি : আবহাওয়া অধিদপ্তর
  দুই আইনজীবির আদালত অবমাননার শুনানি পিছিয়ে ৩০ জুন : আপিল বিভাগ
  নির্বাচনে বিদেশি শক্তির প্রভাব অনুভব করেনি আওয়ামী লীগ : কাদের

পি কে হালদারের সব শেয়ার ফ্রিজের নির্দেশ

গে‌জেট ডেস্ক

হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার অনেকদিন পর সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের নামে থাকা সব কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভ্র কান্তি চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার আসামি পি কে হালদারের শেয়ার ফ্রিজ করার বিষয়ে আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে কমিশন এ নির্দেশ দিয়েছে।

বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহানগর দায়রা জজ ও মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এবং দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ করা মামলায় আদালত গত ১৩ এপ্রিল পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার আদেশ দেন। সে অনুযায়ী পি কে হালদারের অস্থাবর সম্পদ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ বা ফ্রিজ করার জন্য সিডিবিএলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। মঙ্গলবার (১৭ মে) তার বিরুদ্ধে আরও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কলকাতার একটি আদালত।

জানা যায়, বেনামে শেয়ার কিনে দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলে নেন পি কে হালদার। এগুলো হলো- বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস।

এসব প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এবং বিভিন্ন উপায়ে তা পাচার করে দেশত্যাগ করেন পি কে হালদার। একপর্যায়ে নাম পাল্টে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি শিবশঙ্কর হালদার নামে পরিচয় দিতেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান ও আধার কার্ডও সংগ্রহ করেন পিকে হালদার। তার অন্য সহযোগীরাও ভারতীয় এসব কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!