সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা ক্যাম্পাস-চত্ত্বর। পাখির কিচির-মিচির ডাকে যে কোন বয়সী মানুষের হৃদয় কাড়বে।
সরেজমিন গেলে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে পাখিদের এমন মন মাতানো দৃশ্য চোখে পড়ে। ক্যাম্পাসে মেহগনি, রেইনট্রি, নারিকেলসহ কয়েকশ’ প্রজাতির গাছ রয়েছে। সন্ধ্যা নামার আগেই এসব গাছের শাখা-প্রশাখায় ডানা মেলে উড়ে বসছে হাজার হাজার পাখী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের নৈশ প্রহরী রুবেল হোসেন জানান, তিনি ৫ বছর ধরে এখানে কর্মরত আছেন। আসার পর থেকেই তিনি পাখী দেখছেন। তবে, গত দুই বছর পাখীর আগমন বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বড় গাছগুলো কেটে ফেলায় পাখিরা আবাসস্থলের সংকটে পড়েছে। এ কারণে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসের গাছগুলোই হাজার হাজার পাখির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। পাখির মলত্যাগের কারণে অনেকের পরিধেয় পোষাক নষ্ট হয়ে গেলেও এমন মনোমুগ্ধকর কলরবে অনেকেই তা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, প্রতিদিন পাখির মলত্যাগে বাসভবন ময়লা হয়। ঘর থেকে বের হলে অনেক সময় জমা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য খুবই ভাল লাগে।
খুলনা গেজেট/ এস আই