খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

  ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র সব পরিচালকের পদত্যাগ
  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী

পাইকগাছায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ইট উঠে ভোগান্তিতে অর্ধলক্ষ মানুষ

শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা

দীর্ঘ দিন সংষ্কারের অভাবে পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের পশ্চিম কাইনমুখি থেকে খাটুয়ামারী পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ইট উঠে গেছে। তদারকি না থাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে উঠে যাওয়া ইটগুলি। এমন অবস্থায় চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার ১০ টি গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। রাস্তাটির জরুরী সংষ্কারে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলার পশ্চিম কাইনমুখি গ্রামের গোপাল চন্দ্র মন্ডল বলেন, রাস্তাটি দিয়ে খাটুয়ামারী, সোনা খালি, আমুরকাটা, মিনহাজ, বাঁশখালী, হোগলার চক, কানাখালী, ভড়েঙ্গার চকসহ ১০ গ্রামের অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রাস্তার সামান্য অংশ সংষ্কার করলেও গত প্রায় ১০ বছর ধরে রাস্তাটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

আমুর কাঁটার বিধান চন্দ্র মন্ডল বলেন, এ রাস্তা দিয়ে আবু হোসেন কলেজ, আমুর কাঁটা রংধনু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাইনমুখি আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, আমুর কাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ আমুর কাঁটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাটুয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ ছাড়া একই সড়কে রয়েছে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক ও আমুর কাঁটা বাজার। বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন নানা চাহিদা পূরনে প্রতিদিন আমুরকাটা বাজারে যেতে হয়।

বাজারের ব্যবসায়ী ঠাকুর দাশ ও নকুল মন্ডল বলেন, রাস্তার নাজুক পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ ১০ কি:মি: পথ অতিক্রম ঘুরে অন্য বাজারে গেলেও আমুরকাটায় আসতে চায়না। চাহিদা অনুযায়ী দোকানের প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ভ্যান ঠেলে গন্তব্যে পৌছাতে হয়। এক্ষেত্রে খরচ অনুযায়ী পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতা সাধারণের কাছে কিছুটা বেশি দাম চাইলেও তারা মালামাল না কিনে অন্য বাজারে চলে যাচ্ছে।

একটি মাত্র রাস্তার জন্য বাজারব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

দক্ষিণ কাইনমুঁখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কংকন চন্দ্র মন্ডল বলেন, এলাকাটি বরাবরই অবহেলিত। বিশেষ করে গত ১০ বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও কেউ তাদের খোঁজ নেননা বলেও অভিযোগ তার।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!