খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইনজীবী আলিফ হত্যা : ভিডিও দেখে শনাক্ত ১৩ জন, গ্রেপ্তার ৭

পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকায় ফের নদী ভাঙ্গন শুরু, ঝুঁকিতে বসবাস

শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা

কপোতাক্ষ নদের পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকায় ফের ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। উপজেলার রাড়ুলীর মালোপাড়া, কপিলমুনির আগড়ঘাটা, রামনাথপুর, সোনাতনকাটি, মাহমুদকাটি, গোলাবাটি, কাশিমনগরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক শ’ হেক্টর জমির ঘর-বাড়ী, গাছপালা, রাস্তা, কবরস্থান, ফসলি জমির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলে পল্লীর বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পেশাবদল করে অন্যত্র বসবাস করছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে কাশিমনগর হাট-বাজার, গোলাবাটি আশ্রয়ন প্রকল্প, মাহমুদকাটি ও রামনাথপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। যেকোন সময় সেখানকার ভূমি ধ্বসে বিলীণ হতে পারে নদী গর্ভে।

স্থানীয়রা এসব এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙ্গনের খবরে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পাউবো’র কার্যসহকারী মো: আবু তাহের গাজী মাহমুদ কাটি, গোলাবাটি ও কাশিমনগর বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি জরুরী ভিত্তিতে রিংবাঁধের জন্য মাহমুদকাটির ৩৭৫ মিটার, গোলাবাটির ৩০০ ও কাশিমনগর বাজারসহ জেলেপল্লীর ২০০ মিটার এলাকা চিহ্নিত করেন।

এসময় ভাঙ্গনরোধে বিষয়টি পাউবো’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙ্গনে উপজেলার রাড়ুলী জেলে পল্লী, আগড়ঘাটা, রামনাথপুরসহ আশপাশের কয়েক শ’ হেক্টর এলাকায় বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর সর্বশেষ কপোতাক্ষের ভয়াবহ ভাঙ্গন ও তীব্র স্রোতের মুখে মাহমুদকাটি, গোলাবাটি, কাশিমনগর জেলেপাড়াসহ স্থানীয় কাশিমনগর বাজার চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে যেকোন সময় এলাকাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় অনেকের নির্ঘুম রাত কাটছে বলেও জানান ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

সূত্র জানায়, গত প্রায় ৩ যুগ ধরে কপোতাক্ষের এসব এলাকায় কখনো করাল গ্রাস আবার কখনো নাব্যতা হ্রাস বিদ্যমান। নাব্যতা হ্রাসের কবলে কপোতাক্ষ নিশ্চিহ্ন হতে থকলে আন্দোলনের মুখে সরকার কপোতাক্ষ খননের মাধ্যমে নাব্যতা ফিরিয়ে ফের স্রোতসীনি করে তোলে। তবে কোথাও কোথাও পরিকল্পনাহীনতায় বাঁক (মোড়) সরলীকরণ না হওয়ায় বর্তমানে তার পিরীত পাশে ভয়াবহ ভাঙ্গন ও বাঁক এলাকায় ব্যাপকহারে পলিভরাট শুরু হয়েছে।

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, ইতোপূর্বে তারা স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা ও স্বেচ্ছাশ্রমে আগড়ঘাটা এলাকায় ভাঙ্গরোধে বেশ কিছু এগিয়ে নিলেও তা ভাঙ্গন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নয়। বিষয়টি তারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড’র পাইকগাছা উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের পাইকগাছা উপজেলার ভাঙ্গকবলিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে বাঁধ বরাদ্দের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!