খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

পাঁচ মাস বেতন বন্ধ থাকায় কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘আমাদের দাবি না মানলে পরিচ্ছন্ন কাজ বন্ধ থাকবে, আমাদের দাবি মেনে নিন ৫ মাসের বেতন দিন।’ প্লেকার্ডে এমন স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) বহিরাগত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় শতাধিক শ্রমিক এ বিক্ষোভ করেন। এর আগে তারা সংস্থার পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ গ্যারেজের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ১২০ জন বহিরাগত শ্রমিক ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ৫ মাস বেতন না পেয়ে ক্ষুব্ধ এসব কর্মীরা কেসিসির তেলের ট্যাংক গ্যারেজের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবারও তারা বিক্ষোভে নামেন।

বহিরাগত শ্রমিক রাকিব বলেন, ‘করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য পরিষ্কার করছি। অথচ ৫ মাস বেতন পাচ্ছি না। বর্জ্য অপসারণের সময় গ্লাভস, মাস্ক, বুটজুতা, হেলমেট ব্যবহার করার কথা থাকলেও আমাদের কিছুই নেই। শুনেছি আমাদের জন্য এগুলো বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু আমরা পাইনি। বর্তমানে বেতন না পেয়ে অনেক মানবেতর জীবন যাপন করছি। মুদি দোকানীরা আর বাকি দিতে চান না। বাড়িওয়ালারাও বাসা থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন।’

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কেসিসির আউট সোর্সিং-এর চাকুরিতে যোগদান করেন। কয়েক মাস সঠিকভাবে বেতন পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি জুলাই মাস (পাঁচ মাস) পর্যন্ত বেতন পাননি। বার বার কর্মীদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলামের কাছে বেতনের জন্য ধন্যা ধরেও বেতন পাননি। শ্রমিকরা খুব অসহায় অবস্থায় আছেন। একে লকডাউন, সেই সাথে সামনে ঈদ। এই সময় টাকা না পেলে তারা না খেয়ে মরবে।

শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত ছিল নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করার। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করায় তারা প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন।

বহিরাগত শ্রমিকদের সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত শ্রমিক পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। শ্রমিকদের হাজিরা সংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে মেয়র মহোদয় তদন্ত কমিটি করেছিলেন। তদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে মেয়র মহোদয়ের কাছে দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার পরের দিন তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চলে যান। মেয়র মহোদয় খুলনায় আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে তদন্তে কেন এত দীর্ঘ সময় লাগলো তার সদুত্তর দিতে পারেননি হাফিজুল ইসলাম।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!