পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্মরণীয় রাখতে সারাদেশের ন্যায় খুলনায় একযোগে সম্প্রচার করা হয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সকাল থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখতে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ভিড় করতে থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢলও বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের কারণে নগরীর সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম দেখা যায়।
খুলনা জেলা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ কোনে স্টেজ তৈরি করা হয়। মাঠ জুড়ে বসার জন্য ছিল চেয়ার। সকালে সামান্য বৃষ্টির পর রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে মানুষ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আসতে থাকে। অনুষ্ঠানের একটি অংশ জুড়ে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের অবস্থান। এখানে আসতে পেরে তারা খুব খুশী। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল খুলনা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা রক্ষায় ছিল সকাল থেকে খুলনা ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এন্ড স্কুলের শতাধিক ছাত্র। তাদের মধ্যে আলভী নামে এক ছাত্র বলেন, আজ আমাদের জন্য গর্বের দিন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ফলে এ অঞ্চলের বৈষম্য দূর হয়ে যাবে। দূরত্ব কমে যাবে ঢাকা ও খুলনার। খুলনাসহ ২১ জেলার মানুষের উন্নতি হবে।
সুন্দরবন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুর্বণা আবেগে কেঁদে ফেলেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সম্ভব হত না। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দীঘায়ু কামনা করেন।