খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক পালন
  কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ৩

নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ

গে‌জেট ডেস্ক

হাটের ইজারা দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মামলায় হওয়া শাস্তির কথা উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ এর ১০ নং ধারার (১)(গ) উপ-ধারায় উল্লেখ রয়েছে, চেয়ারম্যান বা কোনো সদস্য তার নিজ পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন, যদি তিনি দুর্নীতি বা অসদাচরণ বা নৈতিক স্থলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত হন।

এতে আরও বলা হয়, জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ এর ১০ নং ধারার (১)(গ) উপ-ধারা অনুযায়ী সোহরাব হোসেনকে নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দুর্নীতি মামলায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন যশোর স্পেশাল জজ আদালত। ওই দিন স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, কাউন্সিলর তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, ইজারাদার রাধে কুন্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু, ইজারাদার জিল্লুর রহমান, হাট ইজারাদার এইচএম সোহেল রানা, তৎকালীন পৌর সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বাস ভঙ্গ করে নীতিমালা ২০০২ এর ৩(ঘ) অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করে আসামিরা ১৪১২ (বাংলা) সালে হাট বাজার ইজারা দেয়। আসামিরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা ও ১৪১১ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করে। সর্বমোট ১২ লাখ ২ হাজার ২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

খুলনা গেজেট/ টি আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!