নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের করফা গ্রামে পৈত্রিক ভিটায় এসে ঘুরে গেলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার(৪ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে তিনি পৈত্রিক বাড়িতে যান, সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন।
এসময় তিনি সেখানে তার পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এস এম রোকন উদ্দিন আ্হমেদের নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ মা ও শিশুকেন্দ্র হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এলাকার সাত শ অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এরপর তিনি নড়াইল জেলায় বাস্তবায়নাধীন রেল প্রজেক্টের আওতাধীন সীমান্তবর্তী গোপালগঞ্জের কালনাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প ও লোহাগড়ায় অবস্থিত মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট মেজর জেনারেল এফএম জাহিদ হোসেনসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন এই সময়ে কম্বল বিতরণের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা দিচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে। পৈত্রিক নিবাসে আগমন প্রসঙ্গে বলেন, ‘করফা গ্রাম আমার পৈত্রিক ভিটা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে এখানে আমি ছিলাম।’ অনেকদিন পর অনেকের সাথে দেখা হয়েছে।
রেল সেতু প্রকল্প সম্পর্কে সেনাপ্রধান বলেন, রেল প্রজেক্টটি সেনাবাহিনী দেখাশোনা করছে। গুণগতমান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেনা প্রধানের আগমন উপলক্ষে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে নড়াইল ছাড়েন।