খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

‘নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে যক্ষ্মা থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব’

 নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন রবিবার(২৪ মার্চ) সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘হ্যা আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’।

বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, যক্ষ্মা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে এ থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, এক সময়ে যক্ষ্মা মানুষের অভিশাপ ছিলো। সেই সময়ে যক্ষ্মার নাম শুনলে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হতো। বাংলাদেশের মানুষ যক্ষ্মা কন্ট্রোল করে এনেছে। যক্ষ্মা একেবারে নিমূর্ল হয় না, যক্ষ্মা নির্মূলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সকলে সাবধানতা অবলম্বন করলে মানুষের পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সবিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মো. মনজুরুল মুরশিদ, কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার হালদার, যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডাঃ মো. আনোয়ারুল আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর, সিভিল সার্জন অফিস ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অনুযায়ী ২০২৩ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ লাখ এর বেশি মানুষের যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করা হয়। যার মাধ্যমে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে মোট ৩লাখ ১হাজার ৫৬৪জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ও তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৩ সালে ২হাজার ৪৩৭ জন রোহিঙ্গার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ের জন্য সারাদেশব্যাপী উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন- Genexpert Machine, TruezNat Machine, LED Microscopy, Liquid Culture, LPA, Digital X-Ray সরবরাহ করেছে। এছাড়া একটি ন্যাশনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরী ও পাঁচটি রিজিওনাল রেফারেন্স ল্যাবরেটরীর মাধ্যমে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে ২০২৩ সালে ২হাজার ৭২৯ জন ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার (MDR TB) রোগী শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে। সরকারি ৪৪টি বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, সাতটি বক্ষ্যবাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ আর্ন্তবিভাগ ও বর্হিবিভাগ এবং বিভিন্ন এনজিও ক্লিনিকে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ ও তাদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্কে বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, কেসিসিসহ এনজিওর প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!