খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

নারী নির্যাতন : ভিকটিম পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার ইউপি চেয়ারম্যানের, গ্রেপ্তার আরও ২

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কয়রা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবা‌ড়ি কু‌চির মো‌ড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে এ ঘটনায় ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হল।

শ‌নিবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তা‌রের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেন কয়রা থানার প‌রিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী। তি‌নি জানান, শনিবার দুপুরে মামলার ২ নম্বর আসামি আফছার গাজী (৪০) ও ৫ নম্বর আসামি আখফর হোসেন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকী‌দের গ্রেপ্তা‌রে অভিযান অব‌্যাহত র‌য়ে‌ছে।

এর আগে ঘটনার ৪ দিন প‌রে ভিকটিমের পিতা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার (১৫ জুলাই) রা‌তে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে শনিবার বিকেলে মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ শিকারি ইউনিয়ন পরিষদে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে জড়িয়ে ভিকটিমের পরিবার সংবাদ মাধ্যমে যে তথ্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রত্যাশা করেন।

পা ধরেও ক্ষমা পাইনি মেয়েটা, হিংস্র পশুর মতো পিটিয়েছে

অন্যদিকে আজ ১৬ জুলাই দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারীকে দেখতে যান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। এ সময় নেতৃবৃন্দ ভিকটিম নারীকে সংগঠনের তরফ থেকে চিকিৎসা ও আইনি সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। একই সাথে মামলার অন্যান্য আসামিরা দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করেন।

কয়রায় সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন (ভিডিও)

উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন সোমবার ( ১১ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আব্দুল গফফার গাজীর জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চায়। এসময় তার মেয়ে শামিমা নাসরিন ও পুত্রবধূ সালমা খাতুন ঘর নির্মাণে বাধা দেন। তখন প্রতিপক্ষ শামীমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আহত শা‌মিমা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!