খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  হবিগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত অর্ধশতাধিক
  চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
  সোহেল চৌধুরী হত্যা : আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত
  সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

‘নাবিকদের মুক্তিতে জলদস্যুদের কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি’

গেজেট ডেস্ক

বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ও জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তার দাবি, তাদের সঙ্গে (জলদস্যুদের) নেগোসিয়েশন করা হয়েছে। নানামুখী চাপ ছিল, সেগুলো কাজে দিয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করেছি, দীর্ঘদিন কথাবার্তা চলেছে। এখানে মুক্তিপণের কোনো বিষয় নেই। আমাদের আলাপ-আলোচনা এবং বিভিন্ন ধরনের চাপ আছে এখানে। সেই চাপগুলো এখানে কাজে দিয়েছে।’

‘কারণ আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এটা (জাহাজ) তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। কাজেই জলদস্যুরাই একদম সর্বশক্তিমান, ব্যাপারটা তা নয়। এতদিন যাবত আমরা যে সময়টা নিয়েছি, ইউরোপিয়ান নেভাল ফোর্স থেকে শুরু করে অনান্য যারা আছে, এরা (জলদস্যু) ভীষণ চাপে ছিল,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ান পুলিশেরও বিরাট চাপ ছিল। তারা চায় জলদস্যুদের হাত থেকে এ সমুদ্র পথকে নিরাপদ করতে। এজন্য আমেরিকার সাপোর্টও তারা নিচ্ছে। তারা সে ধরনের একটা পরিকল্পনা করছে, যাতে ভবিষ্যতে এ রুট নিরাপদ থাকে।’

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা পোস্টকে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!