খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

  ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ স্বতন্ত্র সব পরিচালকের পদত্যাগ
  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী
ময়ূরে ব্যয় ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, ক্ষুদেতে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা

নভেম্বরেই শুরু হচ্ছে ক্ষুদে ও ময়ূর নদী খননের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে পুনরায় খনন করা হচ্ছে ময়ূর ও ক্ষুদে নদী। ইতোমধ্যে নদী খননের লে-আউট এবং পূর্ব পরিমাপের কাজ চলছে। নভেম্বর মাসেই নদী খননের মূল কাজ শুরু হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) থেকে জানা গেছে, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় নদী দুটি খনন করা হচ্ছে। ময়ূর খননে কেসিসির ব্যয় হবে ৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এছাড়া ক্ষুদে খাল খননে ব্যয় হবে ৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা দিয়ে ময়ূর নদীর ৫ হাজার ৯০০ মিটার খনন করা হয়। তখন কাজ করছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল (জেভি)। ২০১৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি খনন কাজ শুরু হয়ে পরের বছরের ১০ নভেম্বর শেষ হয়।

কেসিসি থেকে জানা গেছে, বর্তমান মেয়রের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিলো জলাবদ্ধতা নিরসন। দায়িত্বগ্রহণের পূর্বেই ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন হয়। এই প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদী ও ক্ষুদে নদী খনন হচ্ছে।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জানা গেছে, বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০ মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯১০ মিটার নদী কাটা হবে। গড়ে ২ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত নদী খনন করা হবে। ময়ূর নদী বর্তমানে ৬৬ ফুট থেকে ১৪৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া রয়েছে। নদীর ৮৫ শতাংশ শক্ত মাটি ৫০০ মিটার দূরে এবং ১৫ শতাংশ নরম পেড়ি মাটি ৫ কিলোমিটার দূরে রাখা হবে। শক্ত মাটির ৭৫ শতাংশ কাটা হবে ভেকু দিয়ে। আর ১০ শতাংশ কাটা হবে শ্রমিক দিয়ে।

সূত্রটি জানায়, ক্ষুদে নদীর আড়ংঘাটা কালভার্ট থেকে শুরু হয়ে শশ্মান ঘাট ব্রিজ থেকে ১০৭ মিটার দূর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। গত ৬ নভেম্বর নদী খননের লে-আউট প্রদান করেন সিটি মেয়র।

কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক মনজুুরুল ইসলাম বলেন, ৫ মাস আগে কার্যাদেশ দিলেও তখন ছিলো বর্ষা মৌসুম। এজন্য কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিলো। নভেম্বরের মাসের শুরু থেকেই খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে লে-আউট ও খনন পূর্ব অবস্থা পরিমাপ চলছে। চলতি মাসেই খনন কাজ দৃশ্যমান হবে।

কেসিসির মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, আগের বার কতোটুকু মাটি কাটা হয়েছে কেউ দেখতে পায়নি। খনন কাজ দৃশ্যমান করতে নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে ভেকু ও শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হবে। খনন কাজে কোনো ড্রেজার ব্যবহার করা হবে না। নদী খননে কোনো ধরনের ফাঁকি সহ্য করা হবে না।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!