নববর্ষ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা দু’দিন আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে । তবে সচল থাকবে দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত।
বুধবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বাণিজ্য বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৪ এপ্রিল এপার বাংলায় পহেলা বৈশাখ এবং ১৫ এপ্রিল ওপার বাংলায় পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটিতে দু’দিন বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৬ এপ্রিল শনিবার সকাল থেকে পুনরায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রতি বছরে পহেলা বৈশাখে ভারতের ব্যবসায়ীরা বর্ষবরণ পালন করেন। এদিন ছুটি কাটাতে বন্দরে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকে। বিষয়টি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, সরকারি ছুটিতে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। তবে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ বাংলাদেশে এবং আগামীকাল ভারতে আমদানি ও রফতানি বন্ধ । তবে আগামীকাল আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে, টানা দু’দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে থাকে। বেনাপোল বন্দর থেকেও বাংলাদেশি পণ্য প্রায় ১৫০টির মতো ট্রাক যায় ভারতে। প্রতিদিন আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আসে।
খুলনা গেজেট/এনএম