খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রতারক প্রেমিক আটক, হাসপাতালে ডিএনএ টেস্ট

নবজাতক পুত্রকে বাগানে ফেলে দিলো মা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

নবজাতক পুত্র সন্তানকে বাড়ির পেছনের বাগানে ফেলে দিয়েছে গর্ভধারিণী পাষন্ড যুবতী মা। শিশুর কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। তারা মাকে চিহিৃত করে জিজ্ঞাসাবাদের পর সবকিছু পরিস্কার হয়। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় যশোর উপশহর ৮ নং সেক্টরে এ আলোচিত ঘটনাটি ঘটে।

রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার নায়ক বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আকরাম হোসেনকে আটক করে। মঙ্গলবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা শেষে দুপুরে নবজাতক ওই শিশু ও তার মাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান আসামি ও ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করেন। আদালত নবজাতক শিশু ও ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেন ও আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক আকরামের সাথে উপশহরের ওই মেয়েটির দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা এক পর্যাযে রূপ নেয় দৈহিক সম্পর্কে। প্রেমিকার গর্ভে আসে সন্তান। সোমবার সন্ধ্যায় নবজাতক ভূমিষ্টের পর লাজ লজ্জা ও ভয়ে রাত ১০টার দিকে পুত্র সন্তানকে বাড়ির পেছনে ফেলে দেয় গর্ভধারিনী মা। এসময় শিশুর কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কল করা হয় ৯৯৯ নম্বরে ও হাজির হয় পুলিশ। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ভিকটিমের পিতা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সাইফুল মালেক জানান, খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে হাজির হন। কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আকরাম হোসেনকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার যশোর হাসপাতালে আসামি, ভিকটিম ও শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান মঙ্গলবার বিকেলে আসামি ও ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহন করেন। আদালতে ভিকটিম জানায়, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত নয়মাস আগে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। আটক প্রেমিক আকরামও তা স্বীকার করে। এরপর আদালত নবজাতক শিশু ও ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেন ও আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে ভিকটিমের বাবা জানান, আকরাম একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করেন। সে তার দুঃসম্পর্কের ভাই। সেই সুবাধে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিলো আকরামের। কিন্তু এসব বিষয় তাদের জানা ছিলো না। তিনি আরও জানান, তার মেয়েকে বিয়ে করবেন আকরাম। খুব শিঘ্রই আদালতের মাধ্যমে মেয়ে ও নাতনীকে জামায়ের হাতে তুলে দেবেন তিনি।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!