খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোচা, অভিমুখ হতে পারে বাংলাদেশ

গেজেট ডেস্ক 

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ উপকূলে আঘাত হানার সময় এক দিন এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

এদিকে বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাসের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। এ সময়ে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র স্থলভাগে আঘাতের সময় প্রায় ১ দিন এগিয়েছে। তবে দুটি মডেলের মধ্যে স্থলভাগে আঘাতের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা রয়েছে, এখন যা প্রতিদিন কমতে থাকবে।

তিনি উল্লেখ করেন, আবহাওয়ার ইউরোপিয়ান মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আগামী ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের কথা উল্লেখ করছে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ২ মে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ বছরের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা স্থান ভেদে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। সবচেয়ে দুঃসংবাদ হলো পুরো বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে। প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে স্থানের সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি যত বেশি সেই স্থানে ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তিনি আরও লেখেন, ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে আমি প্রমাণ পেয়েছি যে ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণি সৃষ্টির সময় বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া সম্পর্কিত সূচকগুলো যে অবস্থায় ছিলও ঠিক একই অবস্থায় রয়েছে এ সপ্তাহেও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ফারুখ বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্কবার্তা জারি করেছি। লঘুচাপটি আগামী ৭ মে তৈরি হতে পারে। সেটি পূর্ণাঙ্গভাবে তৈরি হওয়ার পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তখন নাম পাবে।

এদিকে বুধবার দুপুর থেকে কলকাতায় বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এদিনই জানিয়েছে, ২০২০ সালের আম্ফানের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোচা। এই ঝড়ের শক্তি কত হবে তা অবশ্য এখনই বলতে পারছে না আবহাওয়া দপ্তর। অবশ্য এই ঝড়ের অভিমুখ যে বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমার হতে পারে সেই বিষয়ে তারা নিশ্চিত।

নিয়ম করে মে মাস এলেই ঘূর্ণিঝড় আসছে বঙ্গে। ২০২০ সালের পর ’২১-এ এসেছিলো যশ। তারপর পালা করে এসেছে সিত্রাং এবং অশনি। এবার মোচা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে? আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এই বিষয়ে এখনই সুনিশ্চিত জবাব দিতে না পারলেও এই ঝড় যে সুন্দরবন ছুঁয়ে বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমারে গিয়ে আছড়ে পড়বে সেই ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। দু’দেশের আবহাওয়া দপ্তরকে এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আজ নবান্নে বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার একটি বৈঠক করেন। নিচু এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে নেয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!