যশোরের মণিরামপুরে ধর্ষণচেষ্টার দুদিন পর পূর্ণিমা (৩৭) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত ১০ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গৃহবধুর স্বামী সঞ্জিত দাস জানান, শনিবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে স্থানীয় মনোহরপুর গ্রামের কফেল ফকিরে ছেলে মিজানুর রহামান ওরফে মির্জা ফকির তার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তিনি বাড়িতে এসে শোনার পর স্ত্রীকে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যান। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম ফকির, মোস্তফা মেম্বর, কালীপদ মন্ডলসহ কয়েকজন তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য করেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার বিকেলে মনোহরপুর গ্রামের রহমান সরদারের ছেলে আবুল দপ্তরি, এজহার সরদারের ছেলে আসাদুজ্জামান নওশের, তাগের ফকিরের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমানের ছেলে আল আমিন, ইউপি সদস্য মোস্তফা ও আকবর আলীর ছেলে ইলিয়াজ হোসেনের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক বসে। কিন্তু অভিযুক্ত মির্জা ফকির উপস্থিত না হওয়ায় ওই বৈঠক প্রত্যাখ্যান করেন পূর্ণিমা ও তার স্বামী।
সঞ্জিত দাসের অভিযোগ, ‘বৈঠকের আয়োজনকারীরা স্ত্রী ও আমাকে হুমকি-ধামকি দেন। একপর্যায়ে বিচার না পেয়ে ক্ষোভে-দুঃখে পূর্ণিমা সোমবার বিকেলে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈঠকে থাকা ইউপি সদস্য মোস্তফা বলেন, ‘সবকিছু মিটমাট করার পরও কেন এমন হলো তা বলতে পারছি না।’
স্থানীয় নেহালপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ আতিকুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই