খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জামিন পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  রাজবাড়ীতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত
  ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

দৌলতপুরের বাবলু হত্যায় এক আসামির যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

খুলনার দৌলতপু‌রের মিজানুর রহমান খান বাবলু হত‌্যার দা‌য়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। একইসা‌থে তাকে ২০ হাজার টাকা জ‌রিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে এ মামলার অন্য আসা‌মিদের বিরু‌দ্ধে অ‌ভি‌যোগ প্রমা‌ণিত না হওয়ায় তা‌দের খালাস প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে। সাজাপ্রাপ্ত আসা‌মি সিরাজুল ইসলাম মামুন দৌলতপুরের পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল মান্না‌নের ছে‌লে।

রোববার খুলনার অ‌তি‌রিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদাল‌তের বিচারক এসএম আ‌শিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রায়ের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত করে‌ছেন ওই আদাল‌তের রাষ্ট্রপ‌ক্ষের আইনজীবী কাজী সা‌ব্বির আহ‌মেদ।

আদালতের সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৩ অক্টেবর রাত ৮ টার দিকে মিজানুর রহমান খান বাবলুসহ আরও কয়েজন দৌলতপুর থানা এলাকার এ এস ট্রেডার্স নামে একটি গ্যাসের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ওই দোকানকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে বাবলুর বুক ক্ষত বিক্ষত হয়। এসময় আরও কয়েকজন আঘাত প্রাপ্ত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় বাবলুকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ব্যাপরে নিহতের বড় ভাই আশরাফ আলী খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে দৌলতপুর থানা এলাকার পাবলা মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে সিরাজুল ইসলাম মামুনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে ১৬৪ ধারায় এ হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা ও ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

এ মামলায় অন্যান্য আসমিরা হলো আশরাফুজ্জামান আরিফ ওরফে তিলা অরিফ, এস এম আবু সাইদ, মো: তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ, মিজান, আশরাফুজ্জামান বাবু ওরফে কমান্ডার বাবু, রেজাউল ইসলাম ওরফে আলম ওরফে শহীদ, শাহাদাৎ হোসেন ওরফে লিটন ওরফে খোড়া লিটন ও মো: শাহিন বিশ্বাস ওরফে শাহীন ওরফে ভাগিনা শাহীন। এদের মধ্যে কয়েকজন আসামি মারা গেছে।

২০০৬ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক চিত্তরঞ্জন পাল উল্লিখিত আসামিদের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!