খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  খুলনাসহ ২৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ আজ বন্ধ

দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট হবে

গে‌জেট ডেস্ক

দেশে কোভিডসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি আবির্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকসিন নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

‘করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইনস্টিটিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে।’

ভ্যাকসিন ইনস্টিটিটিউট এবং ভ্যাকসিন নীতিমালা প্রণীত হলে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে সেই তথ্যও সংসদে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫-২০২০ সময়কালে এসডিজি অর্জনে সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য আমাকে এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ওই সম্মাননা প্রদানকালে করোনা মহামারির এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমাকে জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন (মুকুটের রত্ন) বলে অভিহিত করা হয়।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকোচন, ভ্যাকসিন বৈষম্য প্রভৃতি বিশ্বের অনেক দেশেরই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। কিন্তু এই মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে- এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। এই পুরস্কার শত প্রতিকূলতার মাঝেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে যেমন বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে তেমনি বাংলাদেশের সক্ষমতার ওপর বিশ্ববাসীর আস্থা দৃঢ়তর করেছে। বাংলাদেশের জনগণই এই পুরস্কারের প্রকৃত অংশীদার।

স্বাধীনতা অর্জন থেকে আজকের যত অর্জন, সবই হয়েছে দেশের মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই পদক দেশের জনগণকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।

জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভায়াডাক্টসহ ৯.৮৩ কি.মি দৈর্ঘ্যের বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজ ৮৮.৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। জুন ২০২২ সালের মধ্যে স্বপ্নের এই সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর হবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও যুক্ত হবে, যা প্রতিবেশী দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে। অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মাধ্যমে এলাইনমেন্ট চূড়ান্ত করে যথাসময়ে সাবওয়ে বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ অক্টোবর পর্যন্ত ৭৪.৩৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!