পতিত হাসিনা সরকারের দোসরদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ১৬ বছর স্বৈরাচার সরকার হটাও আন্দোলনের ফসল আমরা গত ৫ আগস্ট ঘরে তুলেছি। লুটেরা হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা সর্বত্র রয়েছে। দোসররা দেশকে অশান্ত করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নগরীর দৌলতপুর থানার আড়ংঘাটা ইউনিয়নে স্থানীয়দেও সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা আন্দোলনের এক ধাফ সফল হয়েছি। এখন আমাদের আন্দোলন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার। এদেশের জনগণ ১৭বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। স্বৈরাচার হাসিনা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য দিনে ভোট রাতে করেছে। আমি আর ডামি নির্বাচন করেছে আবার বিনাভোটেও নির্বাচিত হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে হলে নির্বাচিত সরকারের কোন বিকল্প নেই। সংস্কারের অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে দেশের জনগণ আরো বিপদে পড়বে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে সংস্কার করতে পারবেন। বকুল বলেন, বিএনপির ২০২৩ সালে ৩১দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে।
বকুল বলেন, পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে। দিল্লি যেন ফ্যাসিবাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সুতরাং তারা (ফ্যাসিবাদীরা) বসে নেই। তারা নানাভাবে নানা কায়দায় তাদের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন. সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আজ ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে রাষ্ট্রের সংস্কার অপরিহার্য। যেমন করে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে এই দেশকে স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। ঠিক সেই পথ ধরেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফা নিয়ে কাজ করছে বিএনপি।
মতবিনিময় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, বিশেষ বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। আড়ংঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতলুবুর রহমান মিতুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দা রেহেনা ঈসা, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ