খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২
চালনা পৌরসভা নির্বাচন

দুই প্রার্থী দায়দেনায় এগিয়ে, সম্পদশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্ত্রী

আজিজুর রহমান

খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু‘জনের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিসি ঋণ রয়েছে। আর অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে একজনার স্ত্রীর ব্যাংক-ব্যালান্সের বহর স্বামীর চেয়েও বড়। নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া চার মেয়র প্রার্থীর হলফনামা পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

চালনা পৌরসভার বর্তমান মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। হলফনামায় সনত বিশ্বাস পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসায়ী। সেখান থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়দেনা ৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চালনা বাজার শাখায় ৪ লাখ টাকা স্ত্রীর নামে দায় রয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুসারে, সনত বিশ্বাসের স্থাবর সম্পদ হিসেবে পৈত্রিক সূত্রে কৃষি জমির পরিমাণ ৪ একর ও অকৃষি ৫ একর জমি রয়েছে। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক কোনো আয় নেই। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর হাতে নগদ আছে ২০ হাজার টাকা ও ১৫ তোলা স্বর্ণ এবং প্রায় দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। হলফনামায় মেয়র হিসেবে ভাতার কথা উল্লেখ করলেও বাৎসরিক কত টাকা সম্মানী পান তা তিনি উল্লেখ করেননি। তাছাড়া তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের বাড়ি থাকলেও উল্লেখ করেনি হলফনামায়। এবারের হলফনামায় স্ত্রীর কোনো স্বর্ণ আছে কি না, তা উল্লেখ করেননি পৌরমেয়র।

নির্বাচনে বিএনপির-সমর্থিত পৌরমেয়র পদে মো. আবুল খয়ের খাঁন। এবার তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। হলফনামায় দেখা গেছে, তাঁর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দাকোপ শাখায় ৩ লাখ টাকা দায় রয়েছে। বিভিন্ন খাতে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। আবুল খানের বার্ষিক আয় হিসেবে বাড়িভাড়া বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, কৃষিখাত থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর হাতে নগদ টাকা রয়েছে ১ লাখ। ব্যাংক হিসেবে জমা আছে ৫ হাজার টাকা। ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। স্থাবর সম্পদ হিসেবে আছে ১১ দশমিক ২১৫ একর কৃষি জমি। অকৃষি জমি রয়েছে শূণ্য দশমিক ৮১৩৭৫ একর। এছাড়া আছে একতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি। তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো অর্থসম্পদ নেই।

সম্পদের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি (প্রথম শ্রেণি), পিএইচডি। তাঁর পেশা হিসেবে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেখিয়েছেন। হলফনামার তথ্য অনুসারে, তাঁর বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৪ টাকা। তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক কোনো আয় নেই। তাঁর অস্থাবর-স্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা ও ১৬ দশমিক ৮৭৪ একর জমি রয়েছে। এরমধ্যে অচিন্ত্য মণ্ডলের চেয়ে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে তাঁর হাতে নগদ টাকা আছে ৫০ হাজার। ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ লাখ টাকা। প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। পৌরমেয়র প্রার্থীর স্ত্রী নন্দিতা রাণী পালের ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ৮ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র আছে ২২ লাখ টাকা এবং তাঁর হাতে নগদ ১ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া ২৫ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৯১ হাজার ৫০০ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। স্থাবর সম্পদ আছে ১৬ দশমিক ৮৭৪ একর কৃষি জমি। তারমধ্যে ৭ দশমিক শূণ্য একর জমির বায়ণাকৃত টাকা পরিশোধ।

এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গৌতম কুমার রায় প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন কৃষিকাজ, গো-সেবা ও ভক্তসেবা। হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, কৃষিখাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তবে কৃষি থেকে আয় হলেও কোনো কৃষি জমি নেই। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৫ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদ আছে শূণ্য দশমিক ৫০ একর অকৃষি জমি।

 

খুলনা গেজেট / এআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!