খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  কাল থেকে দেশের সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  সুন্দরবনের গহিনে জ্বলছে আগুন
  দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৬১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

তিন হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু, দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে বাবা

গেজেট ডেস্ক

হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া দুই নবজাতক সন্তানের লাশ নিয়ে ন্যায়বিচার পেতে হাইকোর্টের নজরে এনেছেন একজন পিতা। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে দুই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

এছাড়া হাইকোর্ট তিন হাসপাতালের পরিচালকের কাছে কেন ওই দুই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি, তা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে বলেছেন। হাসপাতাল তিনটি হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল,মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল।

অভিভাবকের অভিযোগ,সদ্য জন্ম নেয়া অসুস্থ জমজ সন্তানকে চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কোন হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। দুপুরে দুই জমজ মারা যায়। পরে দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে যান তিনি। এরপর হাইকোর্ট বিষয়টি নজরে নেন। ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক রুল জারির বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, তিনটি হাসপাতালের পরিচালকের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে রুলে।

ভুক্তভোগী সুপ্রিম কোর্টের কর্মচারী আবুল কালাম বলেন, আজ সোমবার সকালে স্ত্রী সায়েরা খাতুনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জমজ সন্তান প্রসব করেন। পরে ওই মা ও দুই নবজাতককে মুগদা ইসলামিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল থেকে তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিশু হাসপাতাল ওই মা ও দুই নবজাতককে ভর্তি নেয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবজাতক শিশুদের নেওয়া হলেও সেখানে ভর্তি নেয়নি। অবশেষে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই মারা যায় জমজ নবজাতক। ন্যায়বিচার চাইতে দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে আসেন তাদের বাবা আবুল কালাম। বিষয়টি আমলে নিয়ে উল্লিখিত আদেশ দেন হাইকোর্ট।

খুলনা গেজেট/কেএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!