জ্ঞান ফেরেনি সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা বোয়িং মোল্লার। খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হামলার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেনি কেউ। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে টুটপাড়া তালতালা হাসপাতাল এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বোয়িং মোল্লার বড়ভাইয়ের ভাইপো ও ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল খুলনা গেজেটকে বলেন, শুক্রবার রাতে টুটপাড়া হামজা বয়েজ ক্লাবের উদ্যেগে তালতলা হাসপাতালের সামনে কেরাম টুনামেন্ট চলছিল।
হঠাৎ ৫/৬ টা মোটরসাইকেল টুটপাড়া তালতলা হাসপাতালের কাছে গিয়ে গুলি শুরু করে। গুলির শব্দ শুনে উপস্থিত মানুষ দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এই সুযোগে বোয়িং মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার পেছনে দু’টি ও মুখে ধারালো অস্ত্রদিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। চাচাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরবর্তীতে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। মেডিকেল থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিলে তাকে নিয়ে পুনরায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। বর্তমানে তিনি সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার কোন জ্ঞান ফেরেনি। হামলার জন্য আশিক গ্রুপকে দায়ি করেছেন তিনি।
বুলবুল দাবি করেন, আশিক বাহিনী প্রধান আশিকের বড় ভাই সজীব প্রথমে ধারালো অস্ত্রদিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে বাহিনীর সদস্য শুটার রাজু ও জনি উপস্থিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, টুটপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী আশিক গ্রুপ ও নুর আজিম গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনীর উল গিয়াস খুলনা গেজেটকে বলেন, আহত বিএনপি নেতা বোয়িং মোল্লার পরিবার থেকে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে আসেনি। তাছাড়া তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগীতা করেনি। বর্তমানে বোয়িং মোল্লা খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে