দেশে দুই দশক বা তারও বেশি আগের বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শনিবার সকালে যশোরের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের সাথে পৃথক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। দীর্ঘ সময় ধরে মামলা বিচারাধীন থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিচারপ্রার্থীরা। এতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পৌঁছান। এসময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। প্রথমে তিনি যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গনে একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন। সকাল ৯টায় জেলা জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে জেলার সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি দিক নির্দেশনামূলক অভিভাষণ প্রদান করেন। এসময় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নং ভবনে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক আবু মোর্তজা ছোট ক্রেস্ট প্রদান করেন।
এছাড়া পিপি ইদ্রিস আলী তাকে খেজুর গাছ সম্বলিত একটি উপহার প্রদান করেন। বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যশোর ত্যাগ করেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সামছুল হক, নারী ও শিশু নির্যাদন দমন ১ এর বিচারক গোলাম কবির, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ মাইনুল হক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গির, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তি রানী দাস, সোহানী পুষন, তাজুল ইসলাম, বেগম সুরাইয়া সাহাব, সুমি আহম্মেদ, শিমুল কুমার বিশ্বাস, জুয়েল অধিকারী, সুপ্রিম কোর্টের আপ্রিল বিভাগের রেজিস্টার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, প্রধান বিচারপতির পিএস আরিফুল ইসলাম, মারুফ আহেম্মদ।
খুলনা গেজেট/এমএম