অভয়নগরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমছে, থেকে থেকে বইছে হিমেল বাতাস। এতেই নামছে কনকনে শীত। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে, বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল গত বৃহস্পতিবার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩ জানুয়ারিতে যশোরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করলেও বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা নামছে। এতে ঘরের বাইরে খেটে-খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ট্রাক টার্মিনালের গাড়ি লোড-আনলোড ও নদী বন্দর জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বন্দরে বেলা ১২ টার আগে কোন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায় নি।
আবহাওয়া অফিস সূএে জানা যায়, এখন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
কার্গো জাহাজ এমভি সাবিনার মাষ্টার মাসুদ রনি বলেন, মংলা বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে নওয়াপাড়া বন্দরে নোঙর করি। তীব্র শীতে ও কুয়াশার কারণে সকাল থেকে বারোটা পর্যন্ত কয়লা ডাম্পিং করতে পারেনি। হ্যান্ডলিং কুয়াশার জন্য সকালে শ্রমিককেরা আসেনি।
ভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম জানান, এ এলাকায় তীব্র শীত পড়েছে। গাড়ি নিয়ে বের হওয়ায় যায় না। বেলা ১২ টার সময় ঘর থেকে বের হই। শীতে যাত্রীরা ভ্যানে উঠতে চাই না।
ট্রাকচালক মামুন সরদার বলেন, কয়লা লোড করে বসে আছি। তীব্র শীত চলছে সকালে অনেক কুয়াশা বিকালে চাপাইনবয়াবগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা হবো।
মোটর সাইকেল চালক হান্নান শেখ জানান, সকালে যশোরের উদ্দেশ্য রওনা হই।কিন্তু কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। দূর্ঘটনা এড়াতে ১২ টায় রওনা হলাম।
যশোর ট্রাক, মিনিবাস, ট্রাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, তীব্র শীতে সকালে গাড়ি চলাচলের জন্য চালকদের খুব সাবধানে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও কুয়াশার কারণে গাড়ি চলতে নিষেধ করা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে আবারও চলাচল করতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এএজে