ডুমুরিয়া উপজেলার গোনালী গ্রামের জেলেপাড়া গত ৩ দিনের অবিরাম বর্ষণে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট ও বাড়ির উঠানে পানি উঠে গেছে। পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জেলেপাড়ার পুরো এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দী। বাড়ির উঠানেও পানি থৈ থৈ করছে। পচা পানির দূর্গন্ধে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
গোনালী গ্রামের সন্তোষ সরকার, আনন্দ সরকার, বসন্ত সরকার, মিলন সরকার জানায়, জেলেপাড়ার অধিকাংশ ঘরবাড়ির আঙ্গিনায় হাটু সমান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সরবরাহের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তারা পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বিভিন্ন কারণে এখানকার পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বন্ধ রয়েছে। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি সরকারি রাস্তার পাশ দিয়ে সরবরাহ করতো। কিন্তু রাস্তার পাশে বসবাসকারী কতিপয় কিছু লোক তাদের ইচ্ছামতো বেড়িবাঁধ দেওয়ায় রাস্তা দিয়ে পানি সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে জলাবদ্ধতা অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বসবাসকারীরা। এসব পানিতে চলাচলের কারণে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ দেখা দিচ্ছে।
তারা জানায়, ২০ বছর যাবত এই সমস্যার মধ্যে বসবাস করছে তারা। অনেক জনপ্রতিনিধি এখানে এসেছে। কিন্তু কেউই সমাধান করে দেয় নি। তাই গত আগষ্ট মাসের ৪ তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জলাবদ্ধতা নিরসনকরণ প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনো সুফল পেলাম না।
এলাকাবাসী জানায়, রান্নাঘর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের ভিতরেও পানি ঢুকেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারি না। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, জেলেপাড়ার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার কে বলা হয়েছে। যদি ব্যবস্থা না নিয়ে থাকে তাহলে আমি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধান করা হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টা দেখার জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম