ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়টা সামাল দিয়ে বোলিংয়ে নামতেই ভালো একটা শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারেই এসেছিল আঘাত। পুরো সিরিজে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ প্রশংসা কুড়িয়েছে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এসে নিজেদের আরও একবার যেন প্রমাণ করতে মরিয়া বাংলাদেশ। তাসকিনের জোড়া উইকেটের পর সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেনও চাপ সৃষ্টি করেছে জিম্বাবুয়ের ওপর।
এই প্রতিবেদন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১০ ওভারে ৫৮ রান। হারিয়েছে ৪ উইকেট। ম্যাচ জিততে তাদের দরকার আরও ৮৬ রান। হাতে আছে ৬০ বল। ক্রিজে আছেন অভিজ্ঞ রায়ান রার্ল এবং এই সিরিজে অভিষেক হওয়া জোনাথন ক্যাম্পবেল।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে চতুর্থ বলেই আঘাত হেনেছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট। স্বল্প পুঁজির রানকে ডিফেন্ড করতে ঠিক এমন একটা শুরুই দরকার ছিল বাংলাদেশের। এরপর খানিক চাপেই পড়েছিল বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার মারুমানি এবং সিকান্দার রাজা কিছুটা শাসনই করেছিলেন বাংলাদেশকে। সেখান থেকেও মুক্তি দেন তাসকিনই। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রাজাকে।
এরপরে ১৩ বলে ১৪ রান করা মারুমানিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে হয়নি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদল হয়নি। পরের বলেই ক্লাইভ মাদান্দের বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেছিলেন সাকিব। আম্পায়ার নাকচ করে দেওয়ায় এবার রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। এবারেও সিদ্ধান্ত বদল হয়নি।
দশম ওভারে অবশ্য ঠিকই ফিরে যান মাদান্দে। লেগ স্পিনার রিশাদের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন । সেই এলবিডব্লিউ আউট হয়েই ফিরেছেন ১২ রান করে। তাতে ২৫ রানের জুটি ভাঙে জিম্বাবুয়ের। চার উইকেট নিয়ে বাংলাদেশও খানিক আশা দেখতে থাকে ম্যাচে ফেরার।
খুলনা গেজেট/এএজে