নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশমঞ্চে চলছিল জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে সমাবেশ শুরুর অপেক্ষায় বসে ছিল বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের মাঝেই বসে ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তার অনুসারীরা।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ১ টা ৪০ মিনিটে মঞ্চ থেকে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা মাইকে ঘোষণা দেন লাল ও সবুজ ক্যাপ পড়া ছাত্র ও যুবদলের মিছিল সামনের দিকে এগিয়ে এসে দাড়াতে। তখনও সমাবেশমঞ্চ বাউন্ডারীর বাইরে সামনের সারিতে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মীরা দাড়িয়ে ও বসে ছিল। তাদের মাথায় ছিল হলুদ ক্যাপ, পরনে হলুদ ও সাদা গেঞ্জি।
বার বার মঞ্চ থেকে সবুজ ও লাল ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীদের সামনের সারিতে অবস্থান নিতে বলা হয়। মঞ্চ থেকে বারবার উস্কানী দেওয়ার এক পর্যায়ে লাল ও সবুজ ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসে। এসময় সামনের সারিতে জটলা সৃষ্টি হয়। এসময় দু-পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। লাঠি দিয়ে মারপিটও করা হয়। পরে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী নেতাকর্মী সেখান থেকে পিছু হটেন।
অবশ্য মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দান এই বিষয়টি সঠিক নয়।
খুলনা গেজেট/এসজেড