৪৮ রানে দাঁড়িয়ে ৯টি ডট বল খেলেছেন তামিম। ২২তম ওভারে প্রথমবারের মতো আসা সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে সে খরা কাটিয়েছেন তিনি। পরের ওভারে মিল্টন শুম্বাকে স্কুপ করে ডাবলস নিয়ে ক্যারিয়ারের ৫৪তম অর্ধশতক পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাইলফলকে যেতে তাঁর লাগল ৭৯ বল। পরের ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ, কোনো উইকেট না হারিয়ে।
২৪তম ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখনো অবিচ্ছিন্ন তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি।ওয়ানডেতে এ নিয়ে চতুর্থবার ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি গড়লেন এ দুজন। বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি শতরানের জুটিতে তামিম-সৌম্য সরকারের জুটিকে ছুঁয়ে ফেললেন তাঁরা। ওয়ানডেতে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি শতরানের জুটি সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের (৬)।
জিম্বাবুয়ে সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ছুটি নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ছুটি কাটিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ একাদশে ফিরেছেন তিনি। এ ছাড়াও নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে একাদশে এসেছেন এনামুল হক বিজয়।
অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে একাদশে অভিষেক হয়েছে ভিক্টর নিয়াউচির। এই সিরিজে নেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ক্রেইগ আরভিন ও শন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রেজিস চাকাভা।
এই সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা মোটেই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। তরুণদের বাজিয়ে দেখতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কয়েক জনকে পরখ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু কেউই আস্থার দাম দিতে পারেননি। ফলাফল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার।
তবে টি-টোয়েন্টিতে ভরাডুবি হলেও ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়েও দুই দলের ফারাক যোজন যোজন। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন সাতে, জিম্বাবুয়ে আছে পনেরোয়। তাই টি-টোয়েন্টির হতাশা ভুলে এই ফরম্যাট নিয়ে আশা করতেই পারে বাংলাদেশ।
এ ছাড়া দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের শেষ কয়েক বছরের ইতিহাসও এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনো ওয়ানডে ম্যাচেই হারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ ১৯ ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। তাই টি-টোয়েন্টির ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ওয়ানডে সিরিজে ফেভারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।