তরুণদের ব্যাটিং-বোলিং নৈপূণ্যে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছেবাংলাদেশ। আফিফ সাকিব, মোস্তাফিজ, মেহেদী, সোহানের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
সাকিব-মেহেদী জুটির পর আফিফ-সোহান জুটিতে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বোলিংয়েও দারুণ করেছে মেহেদী-মোস্তাফিজ-শরীফুল। এদিন নুরুল হাসান সোহান আর আফিফ হোসেন অবলীলায় জিতে গেলেন এই চ্যালেঞ্জে। বাংলাদেশের তরুণদের শক্তি দেখল অস্ট্রেলিয়া।
বুধবার মিরপুরে বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেটের জয়। ৫ ম্যাচ সিরিজে টাইগাররা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
শুক্রবার তৃতীয় ম্যাচটিতে জিতলেই তো সিরিজ লাল-সবুজের। এরচেয়ে ভাল স্ক্রিপ্ট বোধ হয় লেখা অসম্ভব।
যদিও টস ভাগ্যটা এবারও সঙ্গে থাকল না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আগের ম্যাচ টস জিতে বোলিং নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। এবার ব্যাটিং। দুই সিরিজ মিলিয়ে টানা পাঁচ টসে হারলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে অজিদের সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। অতিথি দল ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ১২১ রান।
তারপরও মিরপুরের স্লো আর টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশ কী করে একটা শঙ্কা তো ছিলই। কিন্তু সেই অনিশ্চয়তা উড়িয়ে দিলেন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শুরুতে সাকিব আল হাসান শেষ দিকে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর নুরুল হাসান সোহান বুঝিয়ে দিলেন এবার দলে জায়গা করেই ছাড়বেন! বাংলাদেশ ১৮ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়েই পেয়ে গেল মনে রাখার মতো আরেকটি জয়!
হিসেবি বোলিংয়ে ম্যাচের প্রথম ভাগেই অর্ধেক কাজটা সেরে রেখেছিলেন মুস্তাফিজ, শরিফুল, সাকিব, মেহেদী হাসানরা। আগের ম্যাচের বিস্ময় বালক নাছুম আহমেদ এদিন আলো ছড়াতে না পারলেও সফরকারীদেরকে আটকে রাখা গেছে ১২১ রানেই।
জবাবে শুরুতেই ব্যক্তিগত শূন্য ও দলীয় ৯ রানে সৌম্য ও দলীয় ২১ রানে নাঈমের বিদায় চাপে পরিণত হতে দেননি সাকিব আল হাসান।
টানা তিন চার মেরে বড় কিছুর ইঙ্গিত দেয়া বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার যখন ক্রিজে ছিলেন, তখন ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার দশা সফরকারীদের।
তবে ৫৮ রানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখের বিদায়ের পর ছোটখাটো একটি ঝড় বয়ে যায়। রানের চাকা চালু না করেই ফিরে আসেন কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ। আর যার ওপর ভরসা ছিল, সেই মেহেদী হাসানও ফিরে আসেন ২৩ রান করে।
তখন দলীয় রান ৬৭। আরও দরকার ৫৫ রান। উইকেটে অনভিজ্ঞরা। ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন আফিফ এবং সোহান। তাঁদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৬ রান। যেখানে আফিফের অবদান ৩০ এবং সোহানের ২২ রান। অজিদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, হ্যাজেলউড, অ্যাগার, জাম্পা ও টাই।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান এসেছে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ময়সেস হেনরিকস করেছেন ৩০ রান। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি ও শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ১২১/৭ (২০ ওভার) (মার্শ ৪৫, ময়সেস ৩০, মুস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭)
বাংলাদেশ: ১২৩/৫ (ওভার ১৮.৪) (আফিফ ৩৭*, সাকিব ২৬, মেহেদি ২৩, সোহান ২২*, অ্যাগার ১/১৭)