খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  রিসেট বাটন বলতে ৭১ এর গর্বিত ইতিহাস নয় দূর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতি মুছে নতুন সূচনার কথা বলেছেন ড. ইউনূস : প্রেস উইং
  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত

তরমুজের বাজারেও কারসাজি, আড়ৎ থেকে খুচরায় দাম দুই থেকে তিনগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌসুমী ফল তরমুজ। রমজান ও তাপদাহের কারণে রসালো ও পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ এ ফলটির চাহিদা বেশী। রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের বাজার চড়া, দর সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

ক্রেতারা বলছেন ফলটি সিজনে নতুন ওঠায় দাম অনেক বেশী। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন খুলনাঞ্চলের তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি। বাইরে থেকে আসায় দাম বাড়তি।

নগরীর কদমতলা পুরাতন রেলস্টেশনের পাশে ২২ দোকানে এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ দোকানগুলোতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, ভোলা, চরকাজল, চরবিশ্বাস ও চরমোন্তাজ থেকে ৫০ হাজারের বেশী তরমুজ আসছে। তবে খুলনাঞ্চলের কৃষককেরা এখনও এ ফলটি কাটেনি। যে কারণে এর দাম একটু বেশী।

প্রতিকেজি তরমুজ মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ তারা এ ফলটি ক্রয় করে পিছ হিসেবে। তবে একটি তরমুজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া উচিত বলে ক্রেতারা মনে করেন।

কদমতলা পুরাতন রেলস্টেশনের গাজী ফল ভান্ডারের হিসাব রক্ষক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনাঞ্চলের তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি। আসতে ১০ দিনের বেশী সময় লাগবে। বর্তমানে বাজারে যে তরমুজ দেখা যায় সেগুলো পটুয়াখালীর তরমুজ। সেখানে এবার ফলন ভাল হয়নি। আমদানিও কমে গেছে। ক্ষেতেলরা বলছে গাছে ভাইরাস লাগার কারণে উৎপাদন কমে গেছে। তাছাড়া মৌসুমে নতুন আসায় এ ফলটির বাজার বেশ চড়া। তারা এখানে কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা করে। নগরীর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পিছ হিসেবে তরমুজ ক্রয় করে।

আদর্শ ফল ভান্ডারের সালাউদ্দিন প্রিন্স বলেন, গেলবারের তুলনায় আমদানি খুব কম। প্রতিদিন ১২ ট্রাক মাল আসছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম। পটুয়াখালী রাঙ্গাবালির তরমুজের কোয়ালিটি ভাল হয়নি। তবে ভোলার মালটি ভাল। ব্যবসায়ীরা চার থেকে পাঁচ কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ ১০০ টাকায় ক্রয় করে। বাইরে গিয়ে কত টাকায় বিক্রি করে সেটি তিনি জানেন না।তবে ভালমানের পাঁচ কেজি ওজনের একটি তরমুজ ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ী।

নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী আল আমিন মানভেদে প্রতিকেজি তরমুজ ৪০ টাকা ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। এত দাম নিয়ে বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরমুজ পচনশীল ফল। বেশীদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়না। পাইকারী ব্যবসায়ীর বড় তরমুজের ভেতর ছোট তরমুজ ঢুকিয়ে দিয়ে বেশী দামে বিক্রি করে। সেটির দাম ওঠাতে গিয়ে আমাকে এ দামে বিক্রি করতে হয়। পাইকাররা সংবাদকর্মী জেনে তথ্য গোপন করেছে। সেখানে দাম না বলে তরমুজ ধরা যায়না।

পিটিআই মোড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, তরমুজের ব্যবসা জুয়া খেলার মতো। পাকা ভেবে ক্রয় করে এনে ভেতরে দেখা যায় সাদা। তখন ক্রেতারা ফলটি নিতে চায়না। কাটা তরমুজটি ফেলে দিতে হয়। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। বাজারে খুলনাঞ্চলের তরমুজ আসলে এর দাম কমে যাবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!