খুলনা, বাংলাদেশ | ১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ মে, ২০২৪

Breaking News

  হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত
  ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

তরমুজের দরপতনে কৃষকের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ

সাগর জাহিদুল

গেল বছর তরমুজ চাষে বেশ লাভ হয়েছিল। এবারও অ‌ধিক লাভের আশায় এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাড়ানো হয় আবাদের পরিমাণ। ফলনও ভালো হয়েছে। ঈদের আগে বাজারে তরমুজের কদর ছিল বেশ, দামও চড়া। তখন তরমুজ বিক্রিতে হাসিও ফুটেছিল। কিন্তু ঈদের পর হঠাৎ বাজারে দাম পড়েছে তরমুজের। আর এতে হতাশা কাধে চেপে বসেছে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া দাকোপ উপজেলার চালনার পিলডাঙ্গা গ্রামের ইন্দ্রজিত গোলদারের।

খুলনা মহানগরীর কদমতলার তরমুজের মোকামে কথা হয় কৃষক ইন্দ্রজিত গোলদারের সাথে। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, গত বছরে ২ বিঘা জমি তরমুজ চাষ করা হয়েছিল। তখন খরচ বাদ দিয়েও লাভ হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। এবারও লাভের আশায় ছিলাম। সেজন্য এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করি। এ বছর মাঠে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। ক্ষেতে ফসল হয়েছে বেশ। প্রথমদিকে বেচাকেনা ভাল হলেও বর্তমানে বিক্রি নেই।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে ফড়িয়ারা মাঠ থেকে ফসল নিয়ে যেত। কিন্তু প্রথমদিকে তাদের আগমন থাকলেও ঈদের পর আর দেখা যায়নি। মাঠে পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ জন্য বসে না থেকে তরমুজ কেটে খুলনার বাজারে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখানে আসার পর দাম শুনে হতবাক হয়েছি। প্রতিপিচ তরমুজ নিয়ে এখানে আসতে খরচ হয়েছে ৯ টাকার ওপরে। আসার পর জানতে পারি প্রতিপিচ তরমুজ ৮ টাকার ওপরে দেওয়া হবে না। শুনেই হতাশ হয়েছি। কিন্তু করার কিছু নেই। এই তরমুজ ফিরিয়ে নেওয়াও সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়েই প্রতিপিচ তরমুজ ৮ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে।

তরমুজের দরপতনে শুধু ইন্দ্রজিতই নয়, খুলনার কদমতলা ফলের আড়তে বিক্রি করতে আসা চাষীদের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ।

রায়হান বাণিজ্য ভান্ডারের ব্যবসায়ী খুলনা গেজেটকে বলেন, রোজায় গরমের তীব্রতা বেশী ছিল। ফলে তরমুজের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। ঈদের পরে গরম কমেছে। বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। ফলে সৌখিন পণ্য তরমুজ আর আগের মতো চাহিদা সম্পন্ন নয়।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: হাফিজুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, জেলায় এবার ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। ১৮ হাজার কৃষক শ্রম দিয়েছেন। প্রতি হেক্টর জমি থেকে কৃষকরা ৪৫ মেট্রিকটন ফসল পেয়েছে। বর্তমান সময়ে শতকরা ৭৫ ভাগ ফসল কাটা হয়েছে। কৃষক তরমুজ কম দামে বিক্রি করছে সেটি বলা যাবে না কারণ রোজার সময়ে তাদের ভালো বিক্রি ছিল। বৃষ্টির পানি লাগলে তরমুজের মান নষ্ট হয়। যে কারণে বিক্রির পরিমাণ কম হতে পারে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!