ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটা স্বপ্নের মতো পার করেছিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শান্তর দুর্দান্ত শতকে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬২ রান সংগ্রহ করে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪ উইকেটে ৩৭৪ আসে চট্টগ্রামে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম দিন ১১ ওভার কম খেলা হয়েছে।
কিন্তু দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৪৫ মিনিটে মাত্র ৭ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। দিনের চতুর্থ ওভারে মেহেদি মিরাজ ও পঞ্চম ওভারে মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম ফিরে যান।
বুধবার (১৪ জুন) ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে একমাত্র ম্যাচটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনে বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত শতকে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬২ রান সংগ্রহ করে। এর আগে সর্বোচ্চ ৪ উইকেটে ৩৭৪ আসে চট্টগ্রামে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম দিন ১১ ওভার কম খেলা হয়েছে।
এদিন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মাহমুদুল হাসান জয়ের দুইশোর্ধ্ব জুটি বাংলাদেশ দলের বড় রানের ভিত গড়ে দেয়। দিনের প্রথম দুই সেশনে আফগান বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরায় স্বাগতিকরা। এরপর তৃতীয় সেশনে এসে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফেরে আফগানিস্তান। তবে শেষ বিকেলে আরেকটি জুটি দাঁড় করিয়ে ফেলেন মুশফিকুর রহিম আর মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাসুদের শিকার হন জাকির হাসানের। এতে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে এসে সেই চাপ সরিয়ে দেন বোলারদের ওপর। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে গড়েন দারুণ এক জুটি। শান্ত ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন।
ফিফটি পেয়েছেন তার বড় জুটির সঙ্গী জয়ও। তবে তিনি বেশ দেখেশুনে খেলেছেন। ১০২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টাইগার ওপেনার। লেগস্পিনার জহির খানের বলে দুইবার ওভার থ্রো হলে দৌড়ে ৫ রান নেন শান্ত আর জয়। তাতেই ফিফটির ঘরে পা পড়ে জয়ের। যদিও সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ভুলভাল শট খেলে।
বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল জয়কে। বারকয়েক আলগা শট খেললেন। অবশেষে উইকেটটা জমা দিয়ে এলেন ডানহাতি এই ওপেনার। জয়ের আউটে ভাঙে শান্তর সঙ্গে ২৬৭ বলে গড়া ২১২ রানের বড় জুটি। টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা জুটি।
খুলনা গেজেট/এনএম