ডুমুরিয়ার ভদ্রা নদীতে কুমির আতঙ্কে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়ে অলস সময় পার করছে। বঙ্গোপসাগরের সাথে ভদ্রা নদীর সংযোগ থাকায় দলছুট হয়ে কয়েকটি কুমির ভদ্রা নদীতে এসে পরপর জেলেদের দুটি নৌকায় আক্রমণ করায় তারা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে।
তাদের দাবি প্রতিনিয়ত নদীতে কুমির ভাসতে থাকে, তাদের নৌকায় কুমির আক্রমণ করতে থাকে। তাহলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে নদীতে মাছ ধরবো। মাছের চেয়ে তাদের কাছে জীবনের মূল্য অনেক বেশী।
জানা যায়, গত ৮ জুন সকালে উপজেলার ভদ্রা নদী-সংলগ্ন মঠবাড়িয়া গ্রামের জেলে মহিতোষ জাল নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সময় একটি কুমির তার নৌকায় হামলা করে। পরে মহিতোষ ও তার সহযোগী জেলেরা জাল ফেলে রেখে দ্রুত নৌকা নিয়ে কিনারে আসেন। ওই দিন দুপুরে নাসিমা বেগম নামে এক মহিলা তার বোনের ছেলে রাব্বিকে নিয়ে নদীতে পানি আনতে গেলে নদীর কিনারায় ১টি কুমির ভাসছে দেখে । এসংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার উৎসুক জনতা কুমিরটি দেখতে নদীতে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
এব্যাপারে ভদ্রাদিয়া গ্রামের জেলে হেলাল উদ্দীন বলেন, মাছ ধরার জন্য তিনি তীরমুনি এলাকায় নদীর কিনারায় গেলে,সেখানে ২টি কুমিরকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। আতঙ্কে তিনি জাল-নৌকা ফেলে রেখে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। খবর পেয়ে লোকজন নদীর পাড়ে ছুটে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
উপজেলার শোভনা গ্রামের শেখ এরশাদ আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে আমাদের নদীতে কুমির দেখা যাচ্ছে। জিয়েলতলা এলাকায় নদীর তীর থেকে ১টি ছাগলও নিয়ে গেছে কুমির। ফলে কুমিরের ভয়ে ভদ্রা নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে অলস সময় পার করছি।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বলেন, নদীতে কুমির এসেছে এ কথা শুনে আমি নিজে নদীটি পরিদর্শন করি এবং ঘটনার সত্যতা পাই। অনেক জেলে ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা ধারণা করছি বঙ্গোপসাগর থেকে দলছুট হয়ে এ কুমির শাখা নদীতে প্রবেশ করেছে। সে জন্য জেলে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সচেতনও করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই