খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হবিগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত অর্ধশতাধিক
  চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
  সোহেল চৌধুরী হত্যা : আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত
  সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডিএনএ পরীক্ষায় সনাক্ত হলো সাংবাদিক অভিশ্রুতির পরিচয়

গে‌জেট ডেস্ক

ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ) পরীক্ষায় বেইলি রোডের আগুনে মারা যাওয়া সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে তার পরিচয় নিয়ে চলমান জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো।

বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। অর্থাৎ অভিশ্রুতিই আসলে বৃষ্টি খাতুন।

রোববার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন। ধর্ম পরিচয় নিয়ে চারদিকে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা। মরদেহ হস্তান্তর আটকে দেওয়া হয়। মরদেহ শনাক্তে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।

বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম গ্রামের প‌শ্চিমপাড়ায়। কলেজের সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর নাম বৃষ্টি খাতুন।

অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলামের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল। নজরুল ইন্ডাস্ট্রিজের (পাইপ ও ফিটিংস) মালিক নজরুল ইসলামের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম  জানান, বৃষ্টি ও নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন। শনিবার (৯ মার্চ) তাদের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। উভয়েরই পরিবারের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, ডিএনএ শনাক্তের পর তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তারাই নেবেন। আমরা এ ব্যাপারে প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, মরদেহ শনাক্তের বিষয়ে সিআইডি এখনও আমাদের কোনো কিছু জানায়নি। আমরা সিআইডির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাইনি। ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় যদি পরিচয় শনাক্ত হয়, তবে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!