মধ্য জুলাইয়ের তুলনায় মঙ্গলবার ডলারের মূল্য দশ টাকা করে বেড়েছে। পাশাপাশি ভারতের মাদ্রাজ ও গুজরাটে ক্রুড লবনের মূল্য বেড়েছে। সংকট কাটাতে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ক্রুড লবন আমদানির অনুমতি দিলেও খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা লোকসান আতংকে ভুগছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে সরকার ক্রুড লবন আমদানির অনুমতি দেয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরিণ বাজারের সংকট মেটানোর জন্য ভারত থেকে লবন আমদানির অনুমতি দেয়। ৩০ জুন দেয়া আদেশে উল্লেখ করা হয়, ৭ জুলাই থেকে এলসি খুলতে হবে। লবন মিল মালিকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় ২০ জুলাই পর্যন্ত এ সময়সীমা বর্ধিত করে। তারপরও সব প্রতিষ্ঠান এলসি খোলেনি।
লবন আমদানির অনুমতি পাওয়ার তালিকায় রয়েছে, খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদরের মধুমতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, সিকিরহাটের তিস্তা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, পদ্মা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, শিরোমনির গফফার ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড, রূপসা উপজেলার সিংহেরচরের রমনা সল্ট রিফাইনারি, রাজাপুরের রাজাপুর সল্ট রিফাইনারী, পূরবী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সাতক্ষীরা বিনেরপোতার ইছামতি সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
স্থানীয় সূত্র বলছে, উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানগুলো ৭ হাজার ৬ শ মে.ট. ক্রুড লবন আমদানির অনুমতি পেয়েছে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ১০২.২৫ টাকা, মঙ্গলবারের মূল্য ১১২ টাকা। বিসিক কর্তৃপক্ষ আয়োডিন সরবরাহ করলেও এখন দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। কেজি প্রতি ৩ হাজার টাকার স্থলে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পদ্মা সল্ট ক্রাসিং ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম মোল্লা এ প্রতিবেদককে জানান, আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকে স্থানীয় বাজার নিম্নমুখী। তাছাড়া ডলারের মূল্য বাড়ায় আমদানিকারকরা কালক্ষেপণ করছে। ২৫ কেজি ওজনের এক কার্টুন ৫৮০ টাকা। কেজি প্রতি ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ক্ষেত্রবিশেষ ১৫ থেকে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জুলাইয়ের প্রথম দিকে মাদ্রাজ ও গুজরাটে প্রতি মে.টন ক্রুড লবন ৫০ ডলারে বিক্রি হলেও বুধবারের মূল্য ছিল ৫৭ ডলার।