খুলনা নগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাটে বড় গরুর আমদানি বেশি, কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি সাইজের গরু। চাহিদা বেশি এবং সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের গরু। অন্যদিকে ক্রেতা কম থাকায় হাটে বড় গরুর বিক্রি তুলনামূলক কম।
শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত হাটে ২৭৫টি গরু এবং ১৭২টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। এ থেকে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩২৫ টাকা। যা গতবারের তুলনায় কম।
নগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে দুপুর পর্যন্ত গরুর আমদানি কম ছিল। বিকালের পর থেকে খুলনার পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি গরু আসছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগমও প্রচুর। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। গতবছরের চাইতে চড়া দামে গরু ও ছাগল বিক্রি করে হাসি ফুটেছে খামারী ও ব্যবসায়ীদের মুখে।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১৩টি গরু এনেছেন। রাতেই মাঝারি সাইজের ৪টি বিক্রি হয়ে গেছে। বড় ৯টি গরুর দাম শুনতে অনেকেই আসছে, কিন্তু দাম শুনে চলে যাচ্ছে। তিনি জানান, মাঝারি সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন। বড় গরু ২ লাখের কাছাকাছি হলে বিক্রি করবেন।
হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার ভারতীয় গরু আসেনি। এজন্য দেশী গরুর দাম চড়া। হাটে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। মাঝারি ও ছোট গরু কম। সেই তুলনায় ক্রেতা অনেক বেশি। সরবরাহ কম থাকায় উচু দর হাকছেন গরু ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন দাম কমাতে। ব্যর্থ হয়ে অনেকেই বেশি দামে গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন। বাকিরা অপেক্ষায় রয়েছেন শেষ রাতে দাম কমার প্রত্যাশায়।
নগরীর বসুপাড়া মোড় থেকে গরু কিনতে এসেছেন সেজান রহমানসহ তার বন্ধুরা। জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে গরু খুঁজছেন। দুই থেকে আড়াই মন ওজনের গরুর দাম চাইছে ৯০ হাজার থেকে এক লাখের ওপরে। স্বাভাবিক সময়ে এই গরু ৬৫/৭০ হাজার টাকার মধ্যে কেনা যেতো।