সাদা ও কালোর সংমিশ্রণ। জাতে ফ্রিজিয়ান। খুব শান্ত স্বভাবের। দেখতে বিশাল দৈত্যাকার। নাম তার ধলা মানিক। আজ দুপুরে নড়াইল থেকে খুলনার জোড়াগেট পশুর হাটে আনা হয়। দুপুর পর্যন্ত হাটের সবচেয়ে বড় গরু ছিল ধলা মানিক। দুপুরের তাপদাহ সহ্য করে ধলা মানিককে এক নজর দেখার জন্য ভিড় করছিল হাটে উপস্থিত ক্রেতারা। তবে দাম শুনে অনেকে পিছিয়ে যায়।
ধলা মানিকের বয়স ৪ বছর। দেখতে গম্ভীর ও শান্ত স্বাভারেব। গরুটির উচ্চতা সাড়ে ৬ ফিট এবং লম্বা ৯ ফিট। এখানে আনার পূর্বে গরুটি ওজন মেপে দেখা গেছে ১ হাজার ৩০০ কেজি।
মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২ বছর আগে স্থানীয় একটি বাজার থেকে গরুটি আড়াই লাখ টাকায় ক্রয় করেন। পূর্বের অভিজ্ঞতা ও ভালবাসার পরশে ২ বছরে গুরুটির দৈহিক গঠনে অমূল পরিবর্তন এসেছে।
তিনি আরও বলেন, দানাদার খাবার সকালে ৭ কেজি ও বিকেলে ৭ কেজিসহ মোট ১৪ কেজি খাবার দিতে হয় ধলা মানিককে। দেখতে গম্ভীর হলেও বেশ শান্ত স্বভাবের। তাই তিনি আদর করে গুরুটিকে ধলা বলে ডাকেন। কখনও গরুটিকে মারেনি। কাউকে সে আঘাতও করেনি। দুষ্টুমির ভাব একেবারে নেই। প্রতিদিন ধলা মনিককে ছোলা, গমের ভুসি, খেসারি, জব ও ধানের কুড়া খাওয়ানো হয়। গেল বছর তাকে নড়াইলের স্থানীয় একটি হাটে নেওয়া হয়েছিল কিন্তু দাম দরে পড়তা না হওয়ায় গরুটি তিনি বিক্রি করতে পারেননি।
ধলা মানিকের দাম জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, বাড়িতে লালন পালন করে বড় করেছেন তিনি। এলাকার ক্রেতারা এর দাম বলেছেন ৫ লাখ টাকা। তাতে রাজি না হয়ে তিনি খুলনার হাটে নিয়ে এসেছেন বেশী দাম পাওয়ার আসায়। এখানে এর দাম সর্বোচ্ছ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে তিনি ৯ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করবেন।
সাইফুল ইসলাম নামে সুইডেন প্রবাসী গরুটির দাম ৭ লাখ টাকা বলেছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘদিন পর ঈদ করতে বাড়িতে আসা। বাড়ির ছোটদের নিয়ে হাটে এসেছি গরু কিনতে। হাটে এটি তার পছন্দ হয়েছিল। ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। কিন্তু গরুটির মালিক ওই দামে রাজি হয়নি।
খুলনা গেজেট / আ হ আ