মৌলিক গণতন্ত্র পদ্ধতিতে আগামীকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ১০ টি কেন্দ্র ভোট গ্রহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন।সংরক্ষিত আসনের ৩ টি পদে ১৩ জন সাধারণ ৯টি ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী।
রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের সূত্র জানান, কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, জিলা স্কুল, চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন,পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ডুমুরিয়া শহীদ যোবায়েদ আলী মিলনায়তন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, বটিয়াঘাটা সরকারি হাই স্কুল, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও রূপসা উপজেলা ভূমি অফিস। ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্র জানান, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৩ জন সশস্ত্র পুলিশ, ২ জন সশস্ত্র আনসার ও ১ লাঠিধারী আনসার ও ১ জন লাঠিধারী মহিলা আনসার দায়িত্ব পালন করবেন। জেলায় ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করবেন। নির্বাচনে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বিডিপি দায়িত্ব পালন করবেন।ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী সমর্থিত শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম.মোর্তজা রশীদী দ্বারা ও বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
গতকাল বিএমএ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা.শেখ বাহারুল আলম প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি করেছেন।
এদিকে খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে The Arms Act,1878 (Act X1 of 1878)- এর ১৭(ক) ধারার ক্ষমতাবলে উক্ত নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ভোট কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ভোট গ্রহণের পূর্বের তিন দিন, ভোট গ্রহণের দিন এবং ভোট গ্রহণের পরের তিন দিন অর্থাৎ মোট সাত দিন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই