খুলনা, বাংলাদেশ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৪ মে, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, স্টেশন মস্টারসহ সাময়িক বরখাস্ত ৩
  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে : শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জার্মানিতেও মুদ্রাস্ফীতি, হার ৭.৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে মাসে জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯-এ পৌঁছেছে। দুই জার্মানি এক হওয়ার পর এই প্রথম মুদ্রাস্ফীতি এত বাড়ল। জার্মানির পরিসংখ্যান বিষয়ক সংস্থা ডিস্ট্যাট এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  এপ্রিলেও মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক সময়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তবে মে মাসে এপ্রিলের চেয়েও এক দশমাংশ বেড়ে ৭.৯ ভাগ হওয়ায় পরিস্থিতি জার্মানির একত্রীকরনের পরের সব খারাপ সময়কেই পেছনে ফেলেছে। ডিস্ট্যাটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বশেষ ১৯৭৩-৭৪-এর ভয়াবহ তেল সংকটের সময়েই শুধু এমন পরিস্থিতি দেখেছিল জার্মানি।

এত উচ্চ হারের মুদ্রাস্ফীতির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুদ্ধের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে জ্বালানির দাম হু হু করে বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের দামও বাড়ছে দ্রুত। গত বছরের মে মাসের তুলনায় জার্মানিতে জ্বালানির দাম বেড়েছে ৩৮.৩ ভাগ আর খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ১১ ভাগ।

করোনা মহামারি এবং তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশেই দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে। ইউরোপের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই জোড়া আঘাতে প্রাভাবিত। বছর শেষে এর প্রভাবে অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কাও রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ গোটা ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি সার্বিকভাবে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের।

বিবিসি বলছে, বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির যে সরকারি হিসেব দেয়া হচ্ছে, বাস্তবে সেটি তার চেয়েও বেশি মনে করা হচ্ছে। এবং এই মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে, এর গতি ধীর হ্ওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে? দ্রব্যমূল্য কি বাড়তেই থাকবে?

অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করছেন, একটি অর্থনৈতিক মন্দার ভেতর দিয়েই এ মূল্যস্ফীতির অবসান হতে পারে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য সুদের হার বাড়ানো শুরু করেছে।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!