খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু ‘গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি’ স্থাপন করাসহ ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে তিনি বলেন, আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্নেহের সহোদর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টির একজন পরীক্ষিত কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে আমাকে কেসিসির নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির শাসনামলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বঞ্চিত খুলনাবাসীকে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পাবলিক হল, প্রেসক্লাব, জাদুঘর, মেট্রোপলিটন শহর স্থাপনসহ খুলনাকে আধুনিক নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য খুলনা পৌরসভাকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙল মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট প্রদান করে আমাকে কেসিসির মেয়র নির্বাচিত করলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কর্পোরেশন হিসেবে গড়ে তুলব।
জাপার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, কেসিসির তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন থানায় শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য পড়াশোনা, গান, কবিতা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য আধুনিক শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিশু পার্ক স্থাপনসহ মেধাবী শিশুদের সম্মাননা প্রদান করা হবে।
জাপার প্রার্থীর ২২ দফা ইশতেহার
১. কেসিসির সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
২. কেসিসিতে ওয়াসা, কেডিএ, পেট্রোবাংলা, খুলনা জেলা প্রশাসক, মেট্রো এবং জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা।
৩. কেসিসির এরিয়া বর্ধিতকরণ নিশ্চিত করা এবং বিশ্বরোডের সঙ্গে শহরের একাধিক বাইপাস নির্মাণ।
৪. শহরের ২২টি খালসহ ময়ূর নদী খনন করে ময়ূর নদীকেন্দ্রিক নগরীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্রের স্থান হিসেবে গড়ে তোলা।
৫. কেসিসিকে ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা।
৬. স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ।
৭. স্বাস্থ্য উন্নয়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৮. বেকারত্ব দূরীকরণে বহুমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
৯. শিক্ষাবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান নিশ্চিত করা।
১০. নারীর উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
১১. নগরবাসীর চলাচল ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা।
১২. অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ।
১৩. নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৪. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
১৫. আধুনিক কসাইখানা স্থাপন।
১৬. পাবলিক টয়লেট স্থাপন।
১৭. যাত্রীছাউনি স্থাপন।
১৮. গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি স্থাপন।
১৯. নতুন কবরস্থান স্থাপন ও বৈদ্যুতিক চুল্লির শ্মশান স্থাপন করা।
২০. বিনোদনের জন্য পার্ক, চিড়িয়াখানা ও রিসোর্ট নির্মাণ।
২১. অর্থনৈতিক জোন সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূরীকরণ।
২২. শিশু বিকাশকেন্দ্র স্থাপন করা।
খুলনা গেজেট/এনএম