পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেনাপোলের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৩ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়েছে। রোববার (১৬ মে ) সকাল থেকে এ পথে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া শুরু করে। এদিকে আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। এতে আমদানি পণ্যের গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়তে দেখা গেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বাণিজ্য সচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো সুপার স্বপন কুমার দাস জানান, ঈদ উপলক্ষে বন্দর তিনদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি রফতানি চালু হয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত সময়ে ৫০ টি পন্যবাহি ট্রাক বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে শত শত পন্যবাহি ট্রাক আটকা পড়েছে পেট্রাপোল বন্দরে। আমদানি রফতানি শুরু হওয়ায় তা কমতে শুরু করেছে। এখন বাণিজ্য শুরু হওয়ায় সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে একমাসের লকডাউন ঘোষণা করলেও দুই দেশের ব্যবসায়িক স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রফতানি বানিজ্যে সচল রাখার জন্য ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার কার্যালয় নবান্ন থেকে এক বার্তায় ব্যবসায়িদের জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪শ থেকে সাড়ে ৪শ ট্র্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।
খুলনা গেজেট/এনএম