খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৈকত হাসান রোহান হত্যা মামলার রায় চতুর্থ বার পেছাল। পরবর্তী রায়ের তারিখ ২১ মার্চ নির্ধারণ করেছেন খুলনার জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো।
গত বছরের নভেম্বরে এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। কিন্তু ওই দিন খুলনা আদালতের আইনজীবী মৃত্যুর কারণে শোক সভা অনুষ্ঠিত হওযায় রায় ঘোষণা হয় নি। ওই দিন বিচারক ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বিচারক ছুটিতে থাকায় কারণে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় পিছিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. আরীফ আহম্মেদ লিটন জানান, আদালত আগামী ২১ মার্চ এই রায়ের তারিখ ঘোষণা করেছেন। রায় পেছানোর কারণ হিসেবে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তিনি জানান, এই মামলার মোট আসামী ১৫ জন। ১৫ আসামীই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
আসামীরা হলেন- মিজান ওরফে দাদো মিজান শেখ(৩৮) ও মিরাজ শেখ (৩৩), আল আমিন (৪০), তৌহিদ শেখ (২৮), মুরাদ (৩০), ইকরাম (৪৫), মো. ইব্রাহিম শিকদার (২২), হাসানুজ্জামান সরদার আকাশ (২৮), তুহিন (২৮), মো. ইব্রাহিম আলী রাজন (২৬), রিয়াজুল (৩২), মো. বেল্লাল শেখ (২২), মো. আব্দুর রাজ্জাক (২৯), মো. জয়নাল আবেদীন জনি (৩৫) ও মো. শাহদাত আনসারী (২৪)।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ আগষ্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর পিটিআই মোড়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সৈকত হাসান রোহানকে। এসময় তারা রোহানের দু’হাতের কবজী, দু’পায়ের রগ কেটে মৃত. ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত পৌনে ১২টার দিকে রোহানের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর নিহতের মা রাশিদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন আসামীর নামে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় স্বাক্ষ্য দিয়েছেন ১২জন।