যশোরের চৌগাছায় এক কৃষকের প্রায় ৩শ’ ধরন্ত পেয়ারা ও মাল্টা লেবুর গাছ রাতের আধারে কে বা কারা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামের পূর্বমাঠে এই ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার শাহাজাদপুর গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে কৃষক আব্দুল খালেক চলতি মৌসুমে নিজ গ্রামের মাঠে সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে মাল্টা লেবু ও উন্নত জাতের পেয়ারার চাষ করেন। প্রতিটি গাছ ফুল আর ফলে ভরে উঠেছে। ইতোমধ্যে অর্ধলাখ টাকার পেয়ারা তিনি বিক্রি করেছেন। বাম্পার ফলন হওয়া পেয়ারা আর মাল্টা নিয়ে হাজারও স্বপ্ন ছিল কৃষক আব্দুল খালেকের। কিন্তু দূর্বৃত্তরা এক রাতেই ওই কৃষকের সব স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ক্ষেত পরিচর্জায় যেয়ে গাছ কাটার দৃশ্য দেখে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ ছুটে যান ওই মাঠে এবং সকলেই ক্ষনের জন্য থমকে যান। এলাকাবাসি দূর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী চাষি আব্দুল খালেক বলেন, অভাব অনাটনের সংসারে অনেক কষ্ট করে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে পেয়ারা ও মাল্টার চাষ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পেয়ারা উঠতে শুরু করেছে, ৫০ হাজার টাকার মত পেয়ারা বাজারে বিক্রিও করেছি। প্রতিটি গাছ এখন ফুল আর ফলে ভরে উঠেছে। এই ফসল নিয়ে আমার আকাশসম স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সোমবার দিবাগত রাতে কে বা কারা অন্তত ১২ কাটা জমির প্রায় সাড়ে ৩শ’ কাছ কেটে তার সব স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে জানান।
স্থানীয় কৃষক বকুল হোসেন, বিল্লাল হোসেন, শফিউদ্দিন বলেন, বহু আগে এ অঞ্চলের মাঠে দুর্বৃত্তরা এভাবে ফসল কেটে সাবাড় করে দিত। দীর্ঘ সময় কৃষক খুব ভাল ভাবেই মাঠে চাষাবাদ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে আবারও ফসল কেটে ফেলার খবরে সকলের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর সাথে যারাই জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসি।
খুলনা গেজেট/ টি আই