যশোরের চৌগাছার বেশ কিছু এলাকাতে ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বাসা বাড়ির টিউবওয়েল ও মাঠের স্যালো মেশিনে পানি উঠছেনা বলে খবর পাওয়া গেছে। দিনের পর দিন কাঙ্খিত পানি না পেয়ে কষ্টে আছেন স্থানীয়রা, ক্রমেই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। খুব দ্রুতই বৃষ্টিপাত না হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।
উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের পলুয়া গ্রাম। এই গ্রামের অধিকাংশ টিউবওয়েল এমনকি মাঠে ধান ও সবজি ক্ষেতে পানি দেয়ার জন্য স্যালো মেশিনেও পানি উঠা বহুলাংশে কমে গেছে। মাঠে স্যালো মেশিনে পানি না ওঠায় চাষিরা সমতল ভূমি হতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ ফুট গভীরে মেশিন স্থাপন করে পানি উঠানোর চেষ্টা করছেন। গত ফাল্গুনের মাসের শেষ সময় থেকে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন গেলে দেখা যায়, কৃষক তার ফসলি জমিতে সেচ দেয়ার জন্য স্যালো মেশিন চালু করেছেন। কিন্তু পানির কোন দেখা নেই। থেমে থেমে মেশিন চালু করেন আবার বন্ধ করেন। এক সময় কাংখিত সেই পানির দেখা মেলে কিন্তু পরিমানে খুবই কম। কৃষক শাহাদৎ হোসেন, কামারুল ইসলাম, মোঃ রনি, আশিকুর রহমান, নাজির হোসেন জানান, বিগত বছর গুলোতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এবছর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে খুব দ্রুতই বৃষ্টি না হলে হয়ত স্যালোতে পানি উঠা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।
কৃষকরা আরও বলেন, প্রায় ২ মাস আগে থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে সময়ে মাটি খুড়ে স্যালো মেশিন ৫/৭ ফুট গভীরে নেয়ার পর পানি উঠতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে সেখান থেকেও কাঙ্খিত পানি পাওয়া যাচ্ছেনা।
এদিকে গ্রামটির অধিকাংশ বাড়ির টিউবওয়েল পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা মেসৈুমে যে টিউবওয়েল থেকে এক চাপে জগ পরিপূর্ণ হত, এখন সেই টিউবওয়েলে ১০ চাপ দিলেও জগ ভরছে না। গ্রামটির রমজান আলীর ছেলে নজিবর, গৃহবধু সালমা খাতুন জানান, দিন যত যাচ্ছে ততই যেন খাবার পানিসহ পরিবারের প্রয়োজনীয় পানি দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে।
সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রচন্ড গরম আর দিনের পর দিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর বেশ নিচে নেমে গেছে। ফলে টিউবওয়েল ও স্যালো মেশিনে কাংখিত পানি মিলছেনা, তবে বৃষ্টিপাত শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই