যশোরের চৌগাছার মর্জাদ রাওড়ে মাছ ধরা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঠান্ডু বিশ্বাস (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
ঠান্ডু উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বর। এ ঘটনায় জড়িত চার জনকে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা আটক করেছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পাতিবিলা বাজারের হাজী শাহাজান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে আহত আব্দুল হামিদ জানান, স্থানীয় মর্জাদ বাওড়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের বিরোধ চলছিলো। বিরোধের সূত্র ধরে রবিবার (২০ ফেব্রয়ারি) পাতিবিলা বাজারে একজনকে মারপিট করা হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। সোমবার সন্ধ্যায় মেম্বার ঠান্ডু বিশ্বাস বাজারের স্কুল গেটে একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এসময় উভয় পক্ষের মাঝে ফের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় মেম্বর ঠান্ডুর পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রতিপক্ষরা। এতে তার নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে যশোর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, পাতিবিলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৫২), মোমিনুর রহমান (৪৫), টিটো (৩২), আসিম কুমার ঘোষ (৩২), মকবুল হোসেন (৪০) ও আব্দুল হামিদ (৪৫)।
এদের মধ্যে আব্দুল হামিদকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে এবং অসিম ঘোষ ও মকবুল হোসেনকে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিদ্দিকুর রহমান ও মোমিনুরর রহমান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া হামলাকারী গ্রুপের টিটো আহত অবস্থায় চৌগাছা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, হামলাকারীদের চিহিৃত করে আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ঠান্ডু হত্যায় জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলো, পাতিবিলা গ্রামের রুহুল আমীন, টিটো, কবীর হোসেন ও রওশন আলী। এদের মধ্যে টিটোকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে র্যাব সদস্যরা আটক করেছে। এছাড়া বাকি তিন জনকে সোমবার রাতেই চৌগাছা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আটক করেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই