যশােরের চৌগাছায় আদালতের আদেশে মাকাপুর গ্রামের হায়দার আলীর লাশ কবর হতে উত্তােলন করা হয়েছে। আলােচিত হত্যা মামলাটি যশাের সিআইডির কাছে হস্তান্তর হলে তদন্তের জন্য আদালত লাশ উত্তােলনের আবেদন করা হয়। আদালতের আদশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট রাহাত খানের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে মাকাপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ উত্তােলন করা হয়।
হত্যার ঘটনার প্রায় দুই মাস পর এই লাশ উত্তােলন করা হয় বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মাকাপুর গ্রামের হায়দার আলী পত্রিক ও ক্রয় সূত্রে সাড়ে ১৩ একর জমির মালিক ছিলেন। এ জমি আসামি মর্তুজা রাসেল তার নাম রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য তার পিতার উপর মানসিক চাপ প্রয়ােগ কর আসছিলেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর চৌগাছা থানায় একটি জিডি করা হয়। গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাবাকে আসামি মর্তুজার হেফাজতে নেন। এরপর আসামিরা মর্তুজার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য চাপ দেয় হায়দার আলীকে। জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে ব্যর্থ হয়ে আসামিরা হায়দার আলীকে ওষুধের মাধ্যমে মৃত্যুর জন্য অসুস্থ করে ফেলে। একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে আসামিরা তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন করে।
মরহুম হায়দার আলীর মৃত্যুসনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র জােগাড় করে হায়দার আলীর স্ত্রী লতিফা হায়দার গত ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর মর্তুজা রাসেলসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। বিচারক অভিযােগটি গ্রহণ করে এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় কােন মামলা হয়েছে কিনা, হলে অগ্রগতিসহ প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট ওসিকে আদালতে জমা দেয়ার আদেশ দেন। চৌগাছা থানার দেয়া প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে চলতি মাসে বিচারক সিআইডি পুলিশকে অভিযােগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন।
সর্বশেষ অধিক তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তােলনের জন্য সিআইডি বিজ্ঞ আদালতের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালেত আদেশ নিহত হায়দার আলীর লাশ পারিবারিক কবরস্থান থেকে মঙ্গলবার সকালে উত্তােলন করা হয়েছে। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয় উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ