যশোরের চৌগাছা পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা সড়ক শুধুমাত্র ইটভাটার ট্রাকের কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সড়কে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলার কারনে ইট,পিচ, খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের, দ্রুত মেরামত করা না হলে স্থানীয় বাসিন্দা সহ পাশ্ববর্তী মানুষের দূর্ভোগ চরমে উঠবে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করছেন।
চৌগাছা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কংশারীপুর-তারনিবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ মহল্লা। কংশারীপুর মোড় হতে কদমতলা পর্যন্ত যার দুরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। এই সড়কটি দিয়ে স্থানীয়রা ছাড়াও পাশ্ববর্তী কদমতলা, মাশিলা, লক্ষীপুর, মাধবপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এক সময় সড়কটি কাঁচা থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ তা পাকাকরণ করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই সড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ, ইট খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সড়কের বেশ কিছু স্থানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে পথচারীদের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তারনিবাস মহল্লার একাধিক বাসিন্দা জানান, চলতি বছরে সড়কটি বলাচলে ইটভাটার ট্রাকের দখলে ছিল। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ওই সব ট্রাক এলাকার মাঠ ও পুকুর থেকে মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে গেছে। বেপরোয়া গতির ট্রাক সড়কে চলাচলের কারনে ভাল রাস্তা দেখতে দেখতে ভেঙ্গে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু তাই না ট্রাক চলার কারনে সড়কের পাশে বসবাসকারিরা চরম কষ্টে দিন পার করছেন। মাটি বহনের কারনে ওই মাটি সড়কে পড়ে তা ধুলায় রুপ নিয়েছে, এছাড়া সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখান থেকেও উড়ছে ধুলাবালু। যার কারনে বাড়ি ঘরে আমাদের বসবাস করায় এখন কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এই সড়কটি যখন কাঁচা ছিল তখন মানুষের চরম দূর্ভোগ সহ্য করতে হয়েছে, পৌরসভা সড়কটি পাকা করলে সকলের কষ্ট দুর হয়। মানুষ যখন সড়কটির সুফল ভোগ করতে শুরু করে, ঠিক সেই সময়ে ভাটার ট্রাক তা নিমিশেই নষ্ট করে মানুষের দূর্ভোগ আবারও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সড়কের আলমসাধু চালক কৃষ্ণপদ সরকার বলেন, এলাকাটি কৃষিনির্ভর, এছাড়া পাশে একটি বৃহৎ বাওড়ও আছে। কৃষিপণ্য ও বাওড় থেকে মাছ নিয়ে আমরা এই সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদরে যায়। কিন্তু হঠাৎ সড়কটির বেশ কিছু স্থানে যে ভাবে ভাঙ্গা শুরু হয়েছে তাতে চলাচল করায় দায়। পথচারী উজ্জল হোসেন বলেন, আমরা মাশিলা এলাকার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু ভাল সড়ক ট্রাকের কারনে ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়া খবরে ইতোমধ্যে সেখানে ইট বালু ফেলে চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে। পাশাপাশি পৌর সদরের সড়ক গুলোতে যাতে অধিক লোড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চলাচল না করে সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই